সংক্ষিপ্ত
এক মাসের মধ্যে নয়া রেকর্ড তৈরি করল জম্মু কাশ্মীর পুলিশ, ভারতীয় সেনা ও ভারতীয় গোয়েন্দাদের যৌথ বাহিনী। জানা গিয়েছে কাশ্মীরি নাগরিকদের ওপর হামলা চালানোর ঘটনায় যুক্ত সব জঙ্গিকেই খতম করতে সফল হয়েছে সেনার যৌথবাহিনী।
জম্মু কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) অক্টোবরে সাধারণ নাগরিকের ( J&K civilian) ওপর একাধিক হামলা (killings) চালিয়েছিল জঙ্গিরা (terrorists)। সেই হামলায় মারা গিয়েছে ১০জন নাগরিক (Civilian)। এরপরেই কার্যত সার্জিকাল স্ট্রাইক চালায় ভারতীয় সেনা (Indian Army)। উদ্দেশ্য ছিল নাগরিকদের মৃত্যুর বদলা নেওয়া। এক মাসের মধ্যে নয়া রেকর্ড তৈরি করল জম্মু কাশ্মীর পুলিশ, ভারতীয় সেনা ও ভারতীয় গোয়েন্দাদের যৌথ বাহিনী। জানা গিয়েছে কাশ্মীরি নাগরিকদের ওপর হামলা চালানোর ঘটনায় যুক্ত সব জঙ্গিকেই খতম করতে সফল হয়েছে সেনার যৌথবাহিনী।
সংবাদসংস্থার রিপোর্ট জানাচ্ছে পাকিস্তানের টেরর মডিউল থেকে সবরকম সাহায্য করা হত এই জঙ্গিদের। জঙ্গি অনুপ্রবেশ থেকে অর্থসাহায্য, অস্ত্র সরবরাহের মতো ঘটনা ভারতীয় সেনার সামনে এসেছে। এরপরেই চিরুণি তল্লাশিতে নামে সেনা। লক্ষ্য ছিল কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার সংখ্যা শূণ্য করে তোলা।
ভারতীয় সেনা জানিয়েছে সাধারণ নাগরিক ও অ-কাশ্মীরিদের ওপর হামলার পরিমাণ জম্মু কাশ্মীরে বাড়ছিল। সে কারণেই এই অভিযান শুরু হয়। সিকিওরিটি ফোর্সের তরফে জানানো হয়েছে জম্মু কাশ্মীর জুড়ে যেভাবে তল্লাশি অভিযানের হার বাড়িয়েছে সিআরপিএফ, তাতে সাফল্য এসেছে। চলতি বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত পাওয়া খতিয়ান জানাচ্ছে এই বছরে ১৩৮ জন জঙ্গিকে নিকেশ করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।
Mamata-Swami Met: মোদীর আগে বিক্ষুব্ধ স্বামীর সঙ্গে বৈঠক মমতার, দলবদলের জল্পনা তুঙ্গে
Miracle: 'মৃত ব্যক্তি' শ্বাস নিল মর্গের ফ্রিজারে, অলৌকিক ঘটনার সাক্ষী সরকারি হাসপাতাল
Mamata Banerjee: কেন বারবার দেখ করব, মমতার এই মন্তব্যের পর কোন পথে কংগ্রেস-তৃণমূল সমীকরণ
এই বছর জম্মু ও কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ১৩৮ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে। এরই সঙ্গে সাধারণ নাগরিক হত্যাকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে ৫৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিরাপত্তা সংস্থাগুলি বছরের শুরু থেকে উপত্যকায় প্রায় ৭০০জন ওভারগ্রাউন্ড কর্মীকে আটকে রেখেছে। সাধারণ নাগরিকদের ওপর হামলার ঘটনা বৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন সিআরপিএফ উপত্যকায় আরও ৫৫০০ জওয়ান পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অক্টোবর মাস থেকেই উপত্যকায় সিআরপিএফের ২৫টি অতিরিক্ত কোম্পানি মোতায়েন করা হয়েছে বলে বিশেষ সূত্রের খবর। বেশ কয়েক মাস ধরেই জম্মু ও কাশ্মীর জুড়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে জঙ্গিরা। তাঁদের নিশানায় বরাবারই থাকছে রাজ্যের সাধারণ মানুষ বা ভিন রাজ্য থেকে রুজির টানে যাওয়া প্রবাসী শ্রমিকরা। এছাড়াও জঙ্গিদের অন্যতম নিশানা কাশ্মীরি পন্ডিতরা। স্থানীয় প্রশানের কথায় জঙ্গিরা উপক্যতায় আতঙ্ক ছড়াতেই এজাতীয় হামলা চালাচ্ছে। হিন্দু মুসলিম নির্বিশেষে উভয় সম্প্রদায়ের সাধারণ মানুষকেই টার্গেট করছে জঙ্গিরা।
২৪শে নভেম্বর শ্রীনগরের রামবাগে স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে এনকাউন্টারে তিন জঙ্গির মৃত্যু হয় বলে স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিকরা জানান। তিন জঙ্গিদের মধ্যে একজন হল লস্কর-ই-তৈবা (LeT) অফশ্যুট দ্যা রেজিসটেন্স ফ্রন্টের (TRF) শীর্ষ স্থানীয় কমান্ডার। অন্য একজন হিজবুল মুজাহিদিনের সদস্য বলেও দাবি করছে পুলিশ।
জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, নিহত তিন জঙ্গির মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে কাশ্মীর পুলিশের আইজি বিজয় কুমার বলেছেন, শ্রীনগর এনকাউন্টারে নিহত তিন জঙ্গির মধ্যে এক জনের নাম মেহরান। মেহরান একজন শীর্ষস্থানীয় টিআরএফ বা রেজিস্টেন্স ফ্রন্টের কমান্ডার। এই ব্যক্তি উপত্যকায় শিক্ষক ও বাকি নাগরিকদের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিল।