ভারত-চীন বৈঠক ২০২৫: আমেরিকার ট্যারিফ যুদ্ধের মাঝে চীনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই ভারতে এস জয়শংকরের সাথে বিশেষ বৈঠক করলেন। এই বৈঠকে নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এবার ডোনাল্ড ট্রাম্প কী পদক্ষেপ নেন সেটাই দেখার।

এস জয়শংকর ওয়াং ই বৈঠক: সোমবার (১৮ আগস্ট) চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই ভারতে এসে পৌঁছান। এখানে তাঁকে জোরদার অভ্যর্থনা জানানো হয়। এরপর বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়। উভয় দেশের প্রধান নেতা সীমান্ত বিরোধ এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সহ নানা বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন। বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর বলেন, “আমাদের সম্পর্কের যেকোনো ইতিবাচক অগ্রগতির ভিত্তি হলো আমরা সীমান্ত অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পারি। উত্তেজনা প্রশমনের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়াও জরুরি।”

এছাড়াও জয়শংকর আরও বলেন, ‘আমাদের সম্পর্কে একটি কঠিন সময়ের পরে উভয় দেশ এখন এগিয়ে যেতে চায়। এর জন্য উভয় পক্ষের স্পষ্ট ও সৃজনশীল দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজন। এই প্রচেষ্টায় আমাদের তিনটি পারস্পরিক বিষয় - পারস্পরিক সম্মান, পারস্পরিক সংবেদনশীলতা এবং পারস্পরিক স্বার্থের দিকে নজর রাখতে হবে। মতবিরোধ বিবাদে পরিণত হওয়া উচিত নয় এবং প্রতিযোগিতা সংঘর্ষে রূপ নেওয়া উচিত নয়।’

বাহ্যিক হস্তক্ষেপ দূর করা হবে - বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই

অন্যদিকে এস জয়শংকরের সঙ্গে বৈঠকের পর চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইও সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং বলেন, "আমরা সীমান্ত অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রেখেছি এবং সিনচিয়াং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে মাউন্ট গ্যাং রেনপোচে এবং লেক মাপাম ইউন সো-এর জন্য ভারতীয় তীর্থযাত্রা পুনরায় শুরু করেছি। আমরা এই বিশ্বাস ভাগ করে নিয়েছি যে বাহ্যিক হস্তক্ষেপ দূর করা হবে, সহযোগিতা বাড়ানো হবে এবং চিন-ভারত সম্পর্কের উন্নতি ও বিকাশের গতি আরও জোরদার করা হবে, যাতে নিজ নিজ জাতীয় অগ্রগতির সঙ্গে আমরা একে অপরের সাফল্যে অবদান রাখতে পারি এবং এশিয়া ও বিশ্বকে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় নিশ্চয়তা প্রদান করতে পারি।'' এই বৈঠক আমেরিকার জন্য বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ এই বৈঠকের আশা আমেরিকাও করেনি।