S Jaishankar China Visit: গাল ওয়ানের বরফ গলছে দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ বছর পর লাল চিন সফরে যাচ্ছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বিস্তারিত জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…
S Jaishankar China Visit: ভারত-পাক উত্তেজনার আবহে এবার চিন সফরে যাচ্ছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। গালওয়ানে সংঘর্ষের পর প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর পর বেজিং সফরে যাচ্ছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর। জানা গিয়েছে, জয়শঙ্কর চিনা শীর্ষ আধিকারিক ওয়াং ই-এর সঙ্গে বেইজিংয়ে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেবেন। এরপর তিনি সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO)-এর বিদেশমন্ত্রীদের কাউন্সিলে যোগ দিতে তিয়ানজিনে যাবেন। এই বৈঠকগুলি আগামী ১৪ ও ১৫ জুলাই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
২০২০ সালের সীমান্ত সংঘাতের পর ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্কে ব্যাপক টানাপোড়েন চলছিল। যদিও সম্প্রতি উভয় পক্ষই সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে। গত মাসে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং SCO-এর প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দিতে চিন সফর গিয়েছিলেন। জয়শঙ্করের এই সফরও সেই প্রচেষ্টারই অংশ বলে মনে করা হচ্ছে।
বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (SCO) বিদেশমন্ত্রীদের কাউন্সিলে যোগদানের আগে তাঁর চীনা সমকক্ষ ওয়াং ই-এর সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন। আগামী ১৪-১৫ জুলাই তিয়ানজিনে এসসিও সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই বৈঠকের পর জয়শঙ্কর তিয়ানজিনের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন।
সূত্রের খবর, সম্মেলনের বাইরে দুই মন্ত্রীর এই পৃথক বৈঠকটি উভয় দেশের মধ্যে টানাপোড়েনযুক্ত সম্পর্ক মেরামতের প্রচেষ্টার ওপর জোর দিচ্ছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই বৈঠক দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনতে এবং বিদ্যমান সমস্যাগুলির সমাধানের পথ প্রশস্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ভারত ও চিনের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্ত বিবাদ সহ বেশ কিছু বিষয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এমন পরিস্থিতিতে এই উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। কূটনৈতিক মহলের ধারণা, এই আলোচনার মাধ্যমে উভয় পক্ষই সম্পর্ক স্বাভাবিক করার একটি পথ খুঁজে বের করার চেষ্টা করবে।
সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (SCO) হল চিন-নেতৃত্বাধীন একটি বহুমুখী গোষ্ঠী। যার নয়টি স্থায়ী সদস্য দেশ রয়েছে। যার মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানও অন্তর্ভুক্ত। ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর এবং ওয়াং ই-এর আসন্ন বৈঠকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে ভারতের জন্য বিরল মৃত্তিকা (rare earth) সরবরাহ, দলাই লামার উত্তরসূরি, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনা এবং দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল পুনরায় শুরু করার মতো বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
এই বৈঠককে কেন্দ্র করে কূটনৈতিক মহলে জল্পনা বাড়ছে। বিশেষ করে, দলাই লামার উত্তরসূরি এবং বিরল মৃত্তিকা সরবরাহের মতো সংবেদনশীল বিষয়গুলি আলোচনায় উঠে এলে তা দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যেকার সাম্প্রতিক উত্তেজনা নিরসনে চিনের ভূমিকা এবং সরাসরি বিমান পরিষেবা চালুর বিষয়েও আলোচনার দিকে নজর রাখছে আন্তর্জাতিক মহল।
এদিকে গত মাসেও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং কুইংদাওতে অনুষ্ঠিত এসসিও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দিতে চিন সফরে গিয়েছিলেন।
এদিকে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই জুলাই মাসে সীমান্ত ইস্যুতে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে বৈঠক করতে ভারত সফরে আসবেন বলে খবর। এই সফরগুলো উভয় দেশের মধ্যে বিদ্যমান সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


