সংক্ষিপ্ত

ভারতের ঘাড়েই সংঘাতের দায় চাপাল চিন।চিনা বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন ভারত চিন সীমান্তে শান্তি ফেরাতে ‘নিরবচ্ছিন্ন আলোচনার’ কথা বললেও অভিযোগ করেন যে প্রথম এলএসি পেরিয়েছিল ভারতীয় সেনাই।

অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে ভারত-চিন সেনার সংঘর্ষ ঘিরে উত্তপ্ত গোটা দেশ। পালটা হামলার আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই সামরিক মহড়া দিচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনা। বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকারও । এহেন পরিস্থিতিতে ভারতের ঘাড়েই সংঘাতের দায় চাপাল চিন।চিনা বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন ভারত চিন সীমান্তে শান্তি ফেরাতে ‘নিরবচ্ছিন্ন আলোচনার’ কথা বললেও অভিযোগ করেন যে প্রথম এলএসি পেরিয়েছিল ভারতীয় সেনাই। এই অভিযোগ একেবারেই অস্বীকার করেন লোকসভায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। তিনি বলেন যে চিনা ফৌজই প্রথম ‘এলএসি লঙ্ঘনের চেষ্টা’ করেছে।

তাওয়াংয়ের ঘটনা নিয়ে উত্তাপ চড়েছে রাজনীতিতেও। শীতকালীন অধিবেশনে তা নিয়ে সরব হয়েছে কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলিও। পরিস্থিতি সামলাতে রাজনাথ সিংহের তৎপরতা দেখা গেলেও নির্বিকার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি সংসদের মধ্যে চুপ থাকলেও বাইরে এসে নেহরুর জমানায় ‘ভারত-চিন সখ্য’ আর চলতি সময়ে রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনে চিনা অনুদান নিয়ে নিশানা করেন কংগ্রেসকে।

তাওয়াং পরিস্থিতির জেরে মঙ্গলবার দফায় দফায় বৈঠক করেছেন স্থলসেনা এবং বায়ুসেনার উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। অসমের তেজপুর, উত্তরবঙ্গের হাসিমারা-সহ গুরুত্বপূর্ণ বায়ুসেনা ঘাঁটিগুলিতে ‘চূড়ান্ত সতর্কতা’ জারি করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এর সঙ্গে অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডুও স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চিনকে।

শুক্রবার রাতে প্রায় ৩০০ চিনা সেনা তাদের থাং লা শিবির থেকে ইয়াংৎসে নদী পার হয়ে তাওয়াং সেক্টরে প্রবেশ করে ভারতের একটি সেনাশিবিরে চড়াও হয়। কিন্তু তার আগের দিন থেকেই খবর পেয়ে প্রস্তুত ছিল ভারতীয় সেনারা। ফলে চিনা সেনা খুব একটা ক্ষতি করতে পারেনি।

২০২০ সালের গত ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গালওয়ানে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে চিনা ফৌজ ভারতে ঢুকলে, ভারতীয় বাহিনীর সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয় চিনের। । সংঘর্ষে মোট ২০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছিলেন। বার বার এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি কেন হচ্ছে সে বিষয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করছে এখন বিশেষজ্ঞমহলের একাংশ।