সংক্ষিপ্ত
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের প্রথম "এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় জলবায়ু প্রতিবেদন" অনুসারে, ২০৭০ সালের মধ্যে ভারতের অর্থনীতিতে ২৪.৭% ধস নামতে পারে।
জলবায়ু পরিবর্তনের সরাসরি প্রভাব পড়বে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে। ২০৭০ সালের মধ্যে ১৬.৯% জিডিপি হ্রাসের মুখোমুখি হতে পারে এই গোটা এলাকা! এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের প্রথম "এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় জলবায়ু প্রতিবেদন" অনুসারে, ভারত একাই তার অর্থনীতিতে ২৪.৭% ধসের সম্মুখীন হতে পারে। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার মতে, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং শ্রম উৎপাদনশীলতা হ্রাস এই ক্ষতির অন্যতম প্রধান কারণ হবে।
গবেষণায় সতর্ক করা হয়েছে যে, জলবায়ু সংকট জারি থাকলে, ২০৭০ সালের মধ্যে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ৩০০ মিলিয়ন মানুষ উপকূলীয় প্লাবনের ঝুঁকিতে পড়তে পারে, এবং ট্রিলিয়ন ডলারের উপকূলীয় সম্পদ বার্ষিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন "জলবায়ু পরিবর্তন এই অঞ্চলে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড়, তাপপ্রবাহ এবং বন্যাকে আরও তীব্র করে তুলেছে, যা বিশ্বব্যপী অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ এবং মানবিক দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে"। তাঁরা জলবায়ু সম্পর্কিত পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে বলেন যে সময় ফুরিয়ে আসছে।
প্রতিবেদনে একটি রোডম্যাপ দেওয়া হয়েছে এবং এই অঞ্চলের উন্নয়নশীল দেশগুলির সরকারগুলির জন্য নীতি সুপারিশের রূপরেখা দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা গ্রিনহাউস গ্যাস হ্রাসের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে বলেন, "২০৭০ সালের মধ্যে, উচ্চ-মাত্রার নির্গমন পরিস্থিতিতে জলবায়ু পরিবর্তন এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মোট ১৬.৯% জিডিপি ক্ষতির কারণ হতে পারে। অঞ্চলের বেশিরভাগই ২০% এর বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হবে।"
প্রতিবেদন অনুসারে, ২০০০ সাল থেকে, উন্নয়নশীল এশিয়া বিশ্বব্যাপী গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের বৃদ্ধির সিংহভাগের জন্য দায়ী। ২০ শতাব্দীতে উন্নত অর্থনীতিগুলি পূর্বে প্রধান নির্গমনকারী হলেও, ২১ শতাব্দীর গোড়ার দিকে এশিয়ার নির্গমন অন্য যেকোনো অঞ্চলের তুলনায় দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষ করে এই তালিকায় রয়েছে চিন, এই দেশ ২০২১ সালে বিশ্বব্যাপী নির্গমনের প্রায় ৩০% অবদান রেখেছে। বিশ্বের ৬০% জনসংখ্যার বাসস্থান এই অঞ্চলে, ২০০০ সালে বিশ্বব্যাপী নির্গমনের ২৯.৪% থেকে ২০২১ সালে ৪৫.৯% এ বৃদ্ধি পেয়েছে।