সংক্ষিপ্ত
২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে 'ডিজিট্যাল ইন্ডিয়া'-র উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে সাফল্যও পেয়েছে ভারত।
ভারতে বিভিন্ন সরকারি কাজে যেভাবে প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে, তাতে খুশি রাজীব চন্দ্রশেখর। তাঁর মতে, ডিজিটাইজেশনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো কাজ করছে ভারত। ভারতের কোটি কোটি নাগরিকের পরিচয়পত্র যেভাবে ডিজিট্যালি তৈরি ও সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়েছে এবং সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে, সেটা সারা বিশ্বে নজির তৈরি করেছে বলেও মত চন্দ্রশেখরের। তিনি জানিয়েছেন, গত ১০ বছরে কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে কাজ করেছে, তাতে 'অকার্যকর সরকার' থেকে 'দক্ষ সরকার' হয়ে উঠেছে। লন্ডনে এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এই মন্তব্য করেছেন চন্দ্রশেখর। তিনি বিদেশের মাটিতে ভারতের উন্নত প্রযুক্তি ও সরকারি কাজের খতিয়ান তুলে ধরেছেন।
ডিজিট্যাল পরিচয়পত্রের উপর জোর দিচ্ছে সরকার
বদলে যাওয়া ভারত প্রসঙ্গে চন্দ্রশেখর বলেছেন, ‘২০১৪ সালের আগে পর্যন্ত এশিয়ার বেশিরভাগ দেশ সম্পর্কেই সাধারণ ধারণা ছিল, মানুষের জন্য কাজ করে না সরকার। ২০১৪ সালের পর আমরা প্রযুক্তির উপর জোর দিতে শুরু করি। আমরা অকার্যকর গণতন্ত্র ও সরকার সম্পর্কে ধারণা বদলে দিয়েছি। প্রযুক্তির বিষয়ে আমাদের মনোভাব এবং ডিজিট্যাল গভর্ন্যান্স যাবতীয় ধারণা ও আলোচনা বদলে দিয়েছে। ১২০ কোটিরও বেশি ভারতীয়র ডিজিট্যাল পরিচয়পত্র তৈরি করা আমাদের সরকারের প্রধান লক্ষ্য ছিল। এর মাধ্যমে ভারত সম্পর্কে প্রচারের অভিমুখ বদলে গিয়েছে। ভারতে আগে বলা হত, সরকার কোনও কাজই করে না। এখন আর সে কথা বলা যাবে না।’
ভারতের প্রশংসায় টনি ব্লেয়ার
চন্দ্রশেখর আরও বলেন, ‘জনগণের জন্য ডিজিট্যাল পরিকাঠামো তৈরি করে দিয়েছে ভারত। অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশগুলি এই পথ অবলম্বন করতে পারে।’ এ বিষয়ে চন্দ্রশেখরের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার। তিনিও ভারতের প্রশংসা করেছেন।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
ডিজিট্যাল হয়ে যাচ্ছে উত্তরপ্রদেশের সমস্ত গ্রাম, দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় বসেই বড় সিদ্ধান্তের পথে যোগী
ডিজিট্যাল স্ট্রাইকের পর বেজিংকে আরো এক কষাঘাত, এই চিনা সামগ্রী আমদানিতে জারি হল নিষেধাজ্ঞা
https://rajeev.in/?videos=ten-years-of-change-recognition-of-the-new-india