সংক্ষিপ্ত
চলতি মাসের শুরুতেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এই নির্দেশ দিয়েছে। সূত্রের খপর এর মূল উদ্দেশ্য সাবমেরিনের পরিস্থিতিগত সচেতনতা বাড়ানো আর রিয়েল টাইম ভিজ্যুয়াল-ফটোগ্রাফ ও ভিডিও ক্যাপচার করা।
দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করেত রীতিমত বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এবার ভারত মহাসাগর, দক্ষিণ চিন সাগর আর ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারতীয় নৌবাহিনীকে শক্তিশালী করার জন্য জলের তলায় ড্রোন মোতায়েন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। যা মূলত ডুবো জাহাজের ওপর নজরদারী চালাবে। পাশাপাশি জলের তলায় শত্রুপক্ষের গতিবিধির ওপর নজর রাখবে।
চলতি মাসের শুরুতেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এই নির্দেশ দিয়েছে। সূত্রের খপর এর মূল উদ্দেশ্য সাবমেরিনের পরিস্থিতিগত সচেতনতা বাড়ানো আর রিয়েল টাইম ভিজ্যুয়াল-ফটোগ্রাফ ও ভিডিও ক্যাপচার করা। কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সূত্র বলছে দেশীয় ও বিদেশী সবরকম ড্রোনের দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। AUV প্রযুক্তির ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। তবে ভারতে এখন UAV প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। নৌবাহিনীর ওই উদ্দেশ্য পুরণের জন্য নতুন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সূত্রের খবর বিদেশে তৈরি আন্ডারওয়াটার ড্রোন সম্ভবত দেশীয় সক্ষমতা বিকাশ না হওয়া পর্যন্ত ব্যবহার করা হবে। বৃহত্তর ক্ষেত্র নজরদারী চালানোর জন্য এই ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে। বছর তিনেক আগেই আন্ডারওয়াটার ড্রোনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছিল। কারণ চিনা পিপিলস লিবারেশন আর্মের নেভি নিয়মিতভাবে ভারতীয় আঞ্চলিক জলসীমায় AUV ব্যবহার করছে। সেনা সূত্রের খবর চিনা আন্ডারওয়াটার ড্রোনকে চিন সাগরে একটি আমেরিকান যুদ্ধজাহাদের সেনা বাহিনীরাও চিহ্নিত করেছে। সেটির প্রযুক্তিগত নজরদারীর কোন অবস্থায় ছিল তাও রেকর্ড করা হয়েছিল।
২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর চিন সরকারের একটি বৈজ্ঞানিত গবেষণা জাহাজ থেকে আবগ্রেডেড আন্ডার ওয়াটার গ্লাইডার মোতায়েন করা হয়েছে। সেটি পূর্ব ভারত মহাসাগর এলাকায় নজরদারী চালাচ্ছে বলে মনে করছে ভারত। ভারতীয় নৌবাহিনী সম্পূর্ণ সচেতন যে চিনা সেনা নিয়মিত ভাবে ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশ করে নজরদারী চালাচ্ছে। আর সেই কারণে ভারতও চিনা হুমকির মোকাবিলা করার জন্য জলের তলায় নজরদারী বাড়াতে চায়।
২০২০ সাল থেকেই চিন ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক প্রবল তিক্ত হতে শুরু করে। চিনা সেনা লাদাখের এলাকায় ঘাঁটি তৈরি করেছিল। গ্যালওয়াল যুদ্ধের ভয়াবহতা ভারত- চিন যুদ্ধের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। লাদাখ ছাড়াও অরুণচাল,সীমান্তেও চিনা সেনার গতিবিধি বেড়েছে। অবৈধভাবে ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় পরিকাঠামো তৈরি করেছে চিন। যা নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি জানিয়েছে ভারত। তবে বর্তমানে কিছুটা হলেও পিছু হাঁটতে বাধ্য হয়েছে চিনা সেনা।
দ্রুত ছড়াচ্ছে মাঙ্কিপক্স, কঠোরভাবে সতর্ক করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
১৪ জুলাই থেকে দিন বদলাবে এই ৩ রাশির ভাগ্য, ভগবান শিবের কৃপা-বৃষ্টি হবে এদের ওপর