সংক্ষিপ্ত

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়েছে ২৯টি দেশ থেকে ১০০০টিরও বেশি মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে।  যেসব দেশে এই রোগের সন্ধান পাওয়া গেছে সেখানে এই রোগটি মোটেও স্থানীয় রোগ নয়। অর্থাৎ আফ্রিকার দেশগুলির বাইরেও মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে।

মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতিমধ্যেই খাতায়কলমে আক্রান্তের সংখ্যা ১০০০ ছাড়িয়েছে। এই অবস্থায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধনম ঘেইব্রেয়াসুস মাঙ্কি পক্সের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণের জন্য সমস্ত কেস ও পরিচিতি চিহ্নিত করার জন্য আক্রান্ত দেশগুলিকে আহ্বান জানিয়েছেন। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়েছে ২৯টি দেশ থেকে ১০০০টিরও বেশি মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে।  যেসব দেশে এই রোগের সন্ধান পাওয়া গেছে সেখানে এই রোগটি মোটেও স্থানীয় রোগ নয়। অর্থাৎ আফ্রিকার দেশগুলির বাইরেও মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে। যা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদস্যরা রীতিমত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে আক্রান্ত দেশগুলিকে প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ করতে ও পরবর্তী বিস্তার রোধ করার জন্য সমস্ত কেস ও পরিচিতি চিহ্নিত করার আহ্বান জানিয়েছে সোশ্যাস মিডিয়ায় বার্তা দিয়েছেন টেড্রোস। তিনি মূলত রোগটি যাতে আর না ছড়ায় তার ওপর জোর দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন এখনও পর্যন্ত এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। কিন্তু রোগটি উদ্বেগজনকভাবে ছড়াচ্ছে। তাই উপসর্গযুক্ত ব্যক্তিদের বাড়িতে বিচ্ছিন্ন  থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আক্রান্তদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান জানিয়েছেন ভাইরাসটি কয়েক দশক ধরেই শুধুমাত্র আফ্রিকার দেশগুলিতে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু এখন এটি ইউরোপ ও আমেরিকাতে ছড়াচ্ছে। প্রতিদিনই ভাইরাসটি হুমকি বাড়াচ্ছে। তাই এখন থেকেই সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছেন এটি স্ব-সীমিত রোগ। সাধারণত দুই থেকে চার সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এটি গর্ভাবতী মহিলা ও দুর্বলদের কাছে মারাত্মক হতে পারে। এই রোগের সাধারণ লক্ষণগুলি হল জ্বর, মাথাব্যাথা, পেশীতে ব্যাথা, ক্লান্তি। গা-হাত-পাতে ফোসকার মত দেখা যায়। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী ৪০ বছরের কম বয়সী পুরুষরাই বেশি আক্রান্ত হয়েছে এই রোগে। এই রোগের লক্ষ্মণগুলি হল জ্বর, পেশীতে ব্যাথা, ক্ষত ও ঠান্ডা লাগা। ভাইরাসটিতে মৃত্যুর হার তিন থেকে ছয় শতাংশ। বেশিরভাগ লোকই আক্রান্ত হওয়ার তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হয়ে যায়। 

মাঙ্কি পক্সের জন্য এখনও পর্যন্ত কোনও নির্দিষ্ট চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই। তবে রোগীদের বিশেষ হাসরাতালে থাকতে হয়ে। অনেকে বাড়িতেও আলাদাভাবে থাকছেন। রোগটি যাতে দ্রুত ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য পৃথক থাকতে বলা হয়েছে আক্রান্তদের। অন্যদিকে তবে বসন্ত রোগের টিকা এই রোগের ক্ষেত্রেও কার্যকর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।