সংক্ষিপ্ত

অক্টোবর মাস থেকেই দেশে মিলবে জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা। ফলে যে হারে টিকাকরণের গতি বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে, তাতে সুবিধা হবে।

ভারতের টিকাকরণ কর্মসূচিতে (vaccination drive) বড়সড় পদক্ষেপ। অক্টোবর মাস থেকেই দেশে মিলবে জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা (Johnson & Johnson jab)। ফলে যে হারে টিকাকরণের গতি (target of vaccinating) বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে, তাতে সুবিধা হবে। অগাষ্ট মাসেই ছাড়পত্র পায় জনসন অ্যান্ড জনসন সংস্থার তৈরি এক ডোজের করোনা ভ্যাকসিন। এটিই ভারতে অনুমোদিত প্রথম এক ডোজের করোনা টিকা। ভারতের মতো বড় দেশে টিকাকরণে দ্রুততা আনতে এই এক ডোজের টিকা বড় ভূমিকা নিতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। 

সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত অক্টোবরে সিঙ্গল শট ভ্যাকসিনের ৪৩.৫ মিলিয়ন ডোজ হাতে পাবে। গত ৫ অগাস্ট তারিখে জনসন অ্যান্ড জনসন, ভারতে তাদের এক ডোজের কোভিড টিকার জন্য জরুরি ব্যবহারের অনুমোদনের আবেদন করেছিল। মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাটির দাবি, এই ভ্যাকসিন ক্লিনিকাল ট্রায়ালে, গুরুতর রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে  ৮৫ শতাংশ কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে।

২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম আমদানিকারক হবে ভারত, বিশেষ রিপোর্ট

এমনকী এই ভ্যাকসিনটি, করোনার ডেল্টা বিকল্প এবং অন্যান্য স্ট্রেনের বিরুদ্ধেও সুরক্ষা দেবে বলেই দাবি সংস্থার। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা জনসন অ্যান্ড জনসনের কোভিড-১৯ টিকাকে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছিল।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পিছন থেকে ছুরি মেরেছে শুভেন্দু, মীরজাফরের সঙ্গে তুলনা ফিরহাদ হাকিমের

জনসন অ্যান্ড জনসেনের দাবি, এই ক্লিনিকাল ট্রায়ালে ভ্যাকসিনটি গুরুতর রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে  ৮৫ শতাংশ কার্যকারিতা দেখিয়েছে। এমনকী এই ভ্যাকসিন, করোনার ডেল্টা বিকল্প-সহ অন্যান্য উদীয়মান স্ট্রেনগুলির বিরুদ্ধেও সুরক্ষা দিতে সক্ষম। লার্জ স্কেল স্টাডি অর্থাৎ বড় মাপের গবেষণায় অবশ্য ততটাও কার্যকারিতা দেখাতে পারেনি ই করোনা টিকা। বিশ্বব্যাপী প্রায় ৪৪,০০০ অংশগ্রহণকারীর উপর টিকাটির পরীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে মাঝারি থেকে গুরুতর কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকাটি ৬৬ শতাংশ কার্যকর ছিল।

নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্য শোনার জন্য অপেক্ষা করে বিশ্ব, রাষ্ট্রসঙ্ঘে দাবি ভারতের প্রতিনিধির

ভারতের অনুমোদিত করোনা টিকাগুলির তালিকায় জনসন অ্যান্ড জনসনের অন্তর্ভুক্তি, দেশে কোভ্যাক্সিন, কোভিশিল্ড, স্পুটনিক ভি  এবং মডার্নার ভ্যাকসিন ছাড়া অন্য একটি বিকল্প তো দেবেই, সেই সঙ্গে টিকার ডোজের সহজলভ্যতাও আগের থেকে অনেকটাই বাড়বে। তার উপর এটি ১ ডোজের টিকা হওয়ার কারণে, একটি ডোজ নিলেই টিকার পুরো ডোজ নেওয়া হয়ে যাবে।