সংক্ষিপ্ত

ভোট প্রচারে এসে রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম কার্যত বোমা ফাটালেন। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সোমবার তুলোধোনা করলেন শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে অমিত শাহকে পর্যন্ত।

মুর্শিদাবাদে সান্ধ্যকালীন ঝটিকা সফরে ভোট প্রচারে এসে রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) কার্যত বোমা ফাটালেন। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সোমবার তুলোধোনা করলেন শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে অমিত শাহকে পর্যন্ত। মুর্শিদাবাদের মাটিতে এসে সিরাজ দৌলার সঙ্গে লর্ড ক্লাইভের যুদ্ধের প্রসঙ্গ তুলে মীরজাফর হিসেবে তুলে ধরলেন শুভেন্দু অধিকারীকে (Shuvendu Adhikari)। শুভেন্দু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) পিছন থেকে ছুরি মেরেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। 

এদিন তাঁর সমালোচনা থেকে বাদ পড়েননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। সরাসরি অমিত শাহকে বাংলার শত্রু বললেন ফিরহাদ। পূর্বপ্রস্তুতি মত এদিন মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থী আমিরুল ইসলামের হয়ে রাজনৈতিক সভা করতে আসেন ফিরহাদ হাকিম। দলের নেতা-কর্মীদের কোভিড বিধি মেনে কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সামশেরগঞ্জে ফিরহাদ হাকিমের সফরে বেশ চাঙ্গা তৃণমূল শিবির। 

শুরুতেই দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে চাঁছাছোলা ভাষায় শুভেন্দু অধিকারীকে টেনে এনে রাজনীতির আঙ্গিনা কাঁপিয়ে দেন তিনি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করে ফিরহাদ হাকিম বলেন,"নন্দীগ্রামে কারসাজি করে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোটে হারিয়েছে শুভেন্দু অধিকারী। আগামী দিনে মানুষ এর বদলা নেবে। আদতে শুভেন্দু অধিকারী হচ্ছে মীরজাফর"। 

সভা পরবর্তীতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন,"মুর্শিদাবাদের মানুষ খুব ভালো করে সিরাজদোল্লা ও মীরজাফরকে চেনেন। তাই তারা জানেন পলাশীর যুদ্ধে লর্ড ক্লাইভ সিরাজদৌল্লাকে আদতে হারায়নি, তাকে হারিয়েছে গদ্দার মীরজাফর। আর এই মীরজাফর হচ্ছে শুভেন্দু অধিকারী। আর তাঁর সঙ্গ দিচ্ছে বাংলার অন্যতম শত্রু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ"। 

দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতে এখানেই থেমে থাকেননি ববি হাকিম। তিনি ভোটবাক্সে ভোটারদের মন জয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভাবে সিএএ ও এনআরসি প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন,"এই দেশ সকলের। তাই মুর্শিদাবাদ থেকে শুরু করে পশ্চিমবাংলার সকলে নিশ্চিন্তে থাকুন দিদি যতদিন থাকবেন তিনি কিছুতেই এনআরসিসি ও সিএএ হতে দেবে না। বাঙালিদের এই রাজ্য ছেড়ে বের করার ক্ষমতা বিজেপি নেই। তাই কোনমতেই দেশের শত্রু বিজেপিকে আপনারা ভোট দেবেন না।"। 

মুর্শিদাবাদে এসে একই সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী ও অমিত শাহকে নিশানা করার পেছনে বড় রাজনৈতিক সুদুরপ্রসারি তাৎপর্যতা আছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল"। যদিও এই ব্যাপারে উত্তর বিজেপির জেলা সভাপতি সুজিত দাস বলেন, "ফিরহাদ হাকিম নিজেই নানা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। সিবিআই তাকেও তলব করেছে অতীতে। নারদা কান্ডে যারা প্রকাশ্যে টাকা নেয় তারা আর যাই হোক দেশের মঙ্গল করতে পারে না"।