সংক্ষিপ্ত
বিহারের মুজাফ্ফরপুরের ঘটনা। প্রেমিকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সিকন্দপুরনগর ভাড়া নেওয়া ফ্ল্যাটে স্বামীকে খুন করে। সেই খুনের ঘটনা পুরোপুরি মদত দিয়েছিল নিহতের শ্যালিকা আর তার স্বামী।
প্রেমিকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে স্বামীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। কিন্তু এখানেও শেষ হয়নি স্ত্রী নৃশংসতা। খুনের প্রমাণ লোপাটের জন্য মৃতদেহ কেটে টুকরো টুকরো করা হয়েছিল। তারপর রাসায়নিক ব্যবহার করতেই বাধে বিপত্তি। জানাজানি হয়ে যা গোটা ঘটনা। তাতেই স্ত্রী, তার প্রেমিক, অভিযুক্ত স্ত্রীর বোন ও তার স্বামী হাতেনাতে ধরা পড়ে যায়। কিন্তু তদন্ত নেমে রীতিমত মাথায় হাত দিতে হয় পুলিশকে।
বিহারের মুজাফ্ফরপুরের ঘটনা। প্রেমিকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সিকন্দপুরনগর ভাড়া নেওয়া ফ্ল্যাটে স্বামীকে খুন করে। সেই খুনের ঘটনা পুরোপুরি মদত দিয়েছিল নিহতের শ্যালিকা আর তার স্বামী। তিরিশ বছরের রাকেশকে খুন করে স্ত্রী ও তার সঙ্গপাঙ্গরা। তারপর প্রমাণ লোপাটের জন্য রীতিমত নৃশংসতার পথ অবলম্বন করে। রাকেশের দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলা হয়। সেই দেহ গলিয়ে দিতে ব্যবহার করা হয় রাসায়নিক। তাতেই বাধে বিপত্তি। রাসায়নি টুকরো টুকরো দেহাবশেষে ঢালার পরই একটি বিস্ফোরণ হয়। প্রতিবেশীরা কিছুটা ভয়পেয়েই স্থানীয় পুলিশে স্টেশনে খবর দেয়। তাতেই ধরা পড়ে যায় অভিযুক্তরা। প্রথম বিস্ফোরণে তদন্তে আসে পুলিশ। তারপরে জানতে পারে ফ্ল্যাটে খুন করা হয়েছে এক ব্যক্তিকে।
আরও রক্তক্ষরণের অপেক্ষায় বামেরা, ২ অক্টোবর কানহাইয়া নাম লেখাতে পারেন কংগ্রেসে
বাংলা বিজেপির নতুন সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কে, কেনই বা তাঁকে বেছে নিলেন মোদী-শাহ জুটি
মনের মণি কোঠায় সলমন খান, ১০ বছরের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পরেও প্রাক্তনীর হৃদয় জুড়ে 'Tiger'
পুলিশ ফ্ল্যাটে ঢোকার পরই রাকেশের দেহের টুকরো টুকরো অংশ দেখতে পার। তাতেই সন্দেহ হয়। উদ্ধার হয় দেহাবশেষ। সেগুলি পাঠান হয়েছে ফরেন্সিক তদন্তের জন্য। তারপরই তদন্তে নামে পুলিশ। জানিয়ে দেয় মৃতদেহটি রাকেশের। এই এলাকারই বাসিন্দা। মৃতের স্ত্রী রাধা। এই ঘটনার অন্যতম চক্রী। সঙ্গে ছিল তার সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল সুভাষ নামে এক ব্যক্তির। রাধার বোন কৃষ্ণা ও তার স্বামীও এই ঘটনায় জড়িত।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, রাকেশের সঙ্গী ছিল সুভাষ। দুজনেই অবৈধত মদের ব্যবসা করত। রাকেশের স্ত্রীর রাধার সঙ্গেই সেই সূত্রে আপাল। কিন্তু পরবর্তীকালে রাধা ও সুভাষ প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, বিহার মদ্যপান নিষিদ্ধ। কিন্তু তারপরেই রাকেশ লুকিয়ে মদ বিক্রি করত। তাই পুলিশের ব়্যাডারে ছিল। মাঝে মাঝেই সে গা ঢাকা দিত। তখন রাধার আর সুভাষের প্রণয়লীলা জমে উঠত বলেও পুলিশ সূত্রের খবর। তাতেই রাধা প্রেমিকের হাত ধরে রাকেশকে চিরতরে সরিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তাতে সাহায্য করেছিল রাধার বোন কৃষ্ণা আর তার স্বামী।
যদিও রাধা জানিয়েছে রাকেশকে বাড়িতে ডেকে তাকে হত্যা করেছিল সুভাষ। রাকেশের মৃত্যুর পরই তার ভাই দীনেশ সাহনী রাধা, সুভার, কৃষ্ণাসহ চার জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন। সেই লিখিত অভিযোগে রাধা আর সুভাসের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথাও জানিয়েছেন তিনি। দীনেশ আরও জানিয়েছেন সম্প্রতী বাড়িতে ফিরেছিল রাকেশ। কিন্তু একটি আদালা বাড়ি ভাড়া করে সেখানে থাকছিল। তাকে স্ত্রীর বাড়িতে ডেকে এনে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দায়ের করা হয়েছে খুনের মামলা।