সংক্ষিপ্ত

  • ফেব্রুয়ারিতেই ভারতে আসছে করোনা প্রতিষেধক 
  • জুলাই মাসে সাধারণের ব্যবহার জন্য বিলি করা হবে 
  • প্রতিষেধকের দাম পড়ে ১০০০ টাকা 
  • ২০২৪ সালের মধ্যে টিকাকরণের কাজ সম্পন্ন করতে চান 
     

আগামী বছর এপ্রিল মাসের মধ্যেই অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রেজেনেকার বিকাশ করা করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক কোভিশিল্ড দেশের মানুষের মধ্যে বিতরণ করা যাবে। ফেব্রুয়ারিরতে এই প্রতিষেধকটি জরুরি অবস্থার সঙ্গে যুক্তদের ও বয়স্কো মানুষের দেওয়া হবে। তেমনই দাবি করেছেন পুনের সেরাম ইনস্টিটিটউটের কর্তা আদার পুনেওয়ালা। তিনি বলেন চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলাফল ও নিয়ামক অনুমোদনের উপর নির্ভর করে জনগণের জন্য দুটি প্রয়োজনীয় মাত্রার ডোসের দাম পড়বে সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা।  আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে প্রতিটি ভারতীয় নাগরিককে করোনাভাইরাসের টিকা প্রদান করা যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। 


প্রতিষেধকের দাম
আদার পুনেওয়ালা আরও জানিয়েছেন, প্রতিষেধক তৈরির রসদ, পরিকাঠামো সবকিছু বিবেচনা করেই তিনি বলছেন যে দেশের সমস্ত মানুষকে করোনার টিকাকরণ করতে দুই থেকে তিন বছর সময় লাগবে। প্রতিষেধক বন্টনের ক্ষেত্রেও একাধিক সীমাবদ্ধতার কথা তিনি উল্লেখ করেছেন। আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে দেশের ৮০- ৯০ শতাংশ মানুষকেই করোনার টিকা দেওয়া সম্ভব হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাঁদের তৈরি প্রতিষেধকের দাম কত হবে তা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন ৫-৬ মার্কিন ডলারে এটি পাওয়া যাবে। ভারতে এক এমআরপি হবে ১০০০ টাকা। পাশাপাশি তিনি বলেন, ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সের সমানই দাম ধার্য করা হবে। অন্যান্য প্রতিষেধকের তুলনায় এটি সস্তা হবে বলেও দাবি করেছেন তিনি। 

প্রতিষেধকের কার্যকারিতা 
প্রতিষেধকটির কার্যকারিতা নিয়েও আশা প্রকাশ করেছেন আদার পুনেওয়ালা। তিনি বলেন, অক্সফোর্ড ও অ্যাস্টেজেনেকার প্রতিষেধকটি এখনও পর্যন্ত ভালো কাজ করছে। বয়েস্ক ব্যক্তিদের মধ্যেই এটি প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সক্ষম বলে ইতিমধ্যেই প্রমাণ পাওয়া গেছে।  টি-সেলই মানুষের শরীরে অনাক্রম্যতা ও অ্যান্টিবডি প্রতিক্রিয়ার সূচেক। আর সেই টি-সেলকে প্ররোচিত করতে পারে এই প্রতিষেধক। তবে এই প্রতিষেধকের অ্যান্টিবডি কতদিন মানুষের শরীরে সক্রিয় থাকবে তা সময়ই বলে দেবে। 

প্রতিষেধকের সুরক্ষা 
আদার পুনেওয়ালার কথায় প্রতিষেধকটি এখনও পর্যন্ত বড় কোনও দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয়নি। যেসব স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে  এটি প্রয়োগ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিকূল ঘটনা ঘটেনি। ভারতে এটি কতটা কার্যকর তা দেখার জন্য এদেশেই ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা করা হচ্ছে। আর কিছুদিনের মধ্যেই পরীক্ষার প্রাথমিক ফলাফল হাতে আসবে বলেও জানিয়েছেন। এই প্রতিষেধক শিশুদের কতটা সুরক্ষা দেবে তার ফলাফলের জন্যও অপেক্ষা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

৩০ সেকেন্ডে মাউথওয়াশেই জব্দ করোনার জীবাণু, প্রতিষেধকের আগেই সুখবর এল করোনা বিশ্বে ...

ডোকলাম থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে ভূটান সীমান্তের মধ্যেই গ্রাম তৈরি করেছে চিন, সাংবাদিকের দাবি ঘিরে জল্পন...

ভারতের জন্য 
আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে সেরাম ইনস্টিটিটউট প্রতিমাসে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধকের ১০ কোটি ডোস তৈরি করবে। তবে এর কতটা ভারতে ব্যবহারের জন্য না নিয়ে এখনও তিনি কিছু জানাননি। তবে তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে কথা চলছে। তাঁদের তৈরি প্রতিষেধক সংরক্ষণ করার জন্য ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াল তাপমাত্রার প্রয়োজন হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ইউরোপের মেডিসিন ইভ্যালুয়েশন সংস্থার থেকে অনুমোদন পাওযার পরই ভারতে জরুরি ভিত্তি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন চাইবেন তাঁরা।