সংক্ষিপ্ত
রাষ্ট্র সংঘের সভায় তালিবানদের শাসন নিয়ে উদ্বেগ। আফগানিস্তানের বাসিন্দাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবি ভারতের।
আফগানিস্তানের পরিস্থিতি দ্রুত স্থিতিশীল হবে। সেখানে একটি অন্তবর্তীকালীন ব্যবস্থা তৈরি করা জরুরি, যা আফগান সমাজের সকল অংশের প্রতিনিধিত্ব করবে। রাষ্ট্র সংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে আফগানিস্থান নিয়ে আশা প্রকাশ করেছে ভারত। একই সঙ্গে ভারত বলেছে আফগান নারীদের অধিবার, শিশুদের নিরাপত্তা-স্বাস্থ্য আর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার সুরক্ষিত করা বাঞ্ছনীয়। বৃহত্তর প্রতিনিধিত্বের ব্যবস্থাকে আরও গ্রহণযোগ্য করা জরুরি। সেই ব্যবস্থা অবশ্যই বৈধতা দিতে হবে। রাষ্ট্র সংঘে ভারতের রাষ্ট্রদূত টিএস তিরুমূর্ত জানিয়েছেন আফগানিস্তান ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র। সেই দেশের জনগণ ভারতের বন্ধু। তাই তাদের নিরাপত্তার জন্য ভারত উদ্বেগে রয়েছে। আফগান পুরুষ মহিলা ও শিশুরা উদ্বেগের মধ্যে বাস করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আফগানিস্তান ইস্যুতে সোমবার রাষ্ট্র সংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলে বিশেষ বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে রাষ্ট্রসংঘের প্রধান অ্যান্তোনিয়ো গুতেরেস তালিবানদের কাছে আফগানিস্তানের বাসিন্দাদের জীবন সুরক্ষিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। মানবির চাহিদা পুরণের ব্যবস্থা করারও আর্জি জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেছেন আফগানিস্তানে গৃহহারাদের নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে তিনি চিন্তিত। নাগরিকদের সুরক্ষার দায়িত্ব সবপক্ষকে নিতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে রাষ্ট্র সংঘে আফগানিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি আর রাষ্ট্রদূত গোলাম এম ইসাকজাই জানিয়েছেন, দোহা ও অন্যান্য ফোরামে তালিবানরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা তারা মানছে না। তালিবানদের রাজত্বে আফগানরা চরম ভয়ে সেই দেশে বসবাস করছেন। লক্ষ লক্ষ মানুষ তাঁদের নাগরিক অধিকার হারাতে বসেছেন বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি বলেছেন তিনি সেইসব লক্ষ লক্ষ আফগান মহিলাদের প্রতিনিধি যাঁরা আগামী দিনে শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে চলেছেন হারাতে বসেছেন রাজনৈতি ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা। আফগান মহিলাদের কণ্ঠ রুদ্ধ করা হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
তবে চিন আফগানিস্তানে তালিবানি শাসন নিয়ে আশাবাদী। চিনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে আগামী দিনে আফগানিস্তান কখনই জঙ্গিদের বধ্যভূমি হয়ে উঠবে না। গত কুড়ি বছর দেশটি তালিবান আর আল-কায়দার সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সাক্ষী থেকেছে। আগামী দিনে উন্নয়নেও তালিবানরা জোর দেবে বলেও জানান হয়েছে।
অন্যদিকে তালিবানরা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, তারা একটি অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন করবে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কোনও রকম প্রতিশোধ নেওয়া হবে না। আফগানিস্তানে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষিত করা হবে। আফগানবাসী ও আফগানিস্তানে থাকা প্রবাসীদের জীবন তালিবানদের হাতে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত। কারণ জীবন নিয়ে চিন্তা করার কোনও প্রয়োজন নেই। তালিবানদের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে যুদ্ধ সম্পূর্ণ রূপে শেষ হয়েছে।