সংক্ষিপ্ত

‘অমৃত কালের ভারত ফাইটার পাইলটের মতো এগিয়ে চলেছে, উচ্চতা স্পর্শ করতে সে ভয় পায় না এবং উচ্চতায় উড়তে আগ্রহী,’ যুদ্ধবিমান এবং যুদ্ধাস্ত্র প্রদর্শনীর এই অনুষ্ঠানের চতুর্দশতম পর্বে বক্তব্য রাখলেন নরেন্দ্র মোদী।

২০২৪-২৫ সালের মধ্যে প্রতিরক্ষা রপ্তানি ৫ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিল ভারত। এই উপলক্ষ্যে ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩-এ বেঙ্গালুরুতে আয়োজিত হল এশিয়ার সব চেয়ে বড় বিমান প্রদর্শনী ‘এয়ারো ইন্ডিয়া ২০২৩’। প্রদর্শনীটিতে অংশ নিয়েছে বিশ্বের মোট ৯৮টি দেশ।

সোমবার এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধনে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, “গত ৮-৯ বছরে ভারত তার প্রতিরক্ষা খাতকে পুনরুজ্জীবিত করেছে। আমরা এটিকে কেবলমাত্র ‘শুরু’ বলে মনে করি। আমরা ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে প্রতিরক্ষা রপ্তানি ৫ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রেখেছি।”

নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, আজ ভারত বিশ্ব প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলির জন্য একটি বাজার নয় বরং একজন অংশীদার এবং দেশটি সেইসব দেশগুলির জন্য উপযুক্ত অংশীদার হিসাবে আবির্ভূত হচ্ছে, যারা নিজেদের নিরাপত্তার চাহিদা পূরণ করতে চাইছে। ভারতের প্রযুক্তি সাশ্রয়ী এবং সৎ অভিপ্রায়ের সাথে বিশ্বাসযোগ্য।


 

মোদী বলেছিলেন যে, তেজস যুদ্ধবিমান দেশীয়ভাবে তৈরি। আইএনএস বিক্রান্ত-এর পাশাপাশি তুমাকুরুর হেলিকপ্টার কারখানা, এগুলো সবই মেক ইন ইন্ডিয়ার শক্তির উদাহরণ। তিনি বলেন, একুশ শতকের ভারত কোনো সুযোগ হারাবে না, বা তার স্বপ্ন পূরণের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে পিছপা হবে না। আজকের ভারত অনেক দ্রুত, অনেক দূর পর্যন্ত চিন্তা করে এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়। অমৃত কালের ভারত ফাইটার পাইলটের মতো এগিয়ে চলেছে, উচ্চতা স্পর্শ করতে সে ভয় পায় না এবং উচ্চতায় উড়তে আগ্রহী। এয়ারো ইন্ডিয়ার গর্জনে ভারতের সংস্কার, পারফর্ম এবং পরিবহণের প্রতিধ্বনি রয়েছে।

দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি সমরাস্ত্র এবং যুদ্ধবিমানের প্রদর্শনীর জন্যই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এ বার এই প্রদর্শনী চতুর্দশতম পর্বে পড়ল। ২০২৩ সালে এই প্রদর্শনীর থিম হচ্ছে ‘কোটি কোটি সম্ভাবনার রানওয়ে’। এই প্রদর্শনীতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে প্রায় ২৫১টি মউ চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে। যা প্রায় ৭৫ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি লাভ দেবে।


 

প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, একটা সময় ছিল যখন এয়ারো ইন্ডিয়াকে ভারতে প্রতিরক্ষা প্রদর্শনের একটি উইন্ডো হিসাবে বিবেচনা করা হত, কিন্তু বছরের পর বছর ধরে, ইভেন্টটি প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের উপর ফোকাস করে ভারতের শক্তির প্রতিফলন হিসাবে গড়ে উঠেছে। যখন একটি দেশ নতুন চিন্তাভাবনা এবং নতুন পদ্ধতির সাথে এগিয়ে যায়, তখন তার সিস্টেমগুলিও নতুন চিন্তাভাবনার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে শুরু করে। একবিংশ শতাব্দীর নতুন ভারত কোনো সুযোগ হাতছাড়া করবে না বা তার কঠোর পরিশ্রমে কোনো কসরত ছাড়বে না। আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।

আরও পড়ুন-
অতি সাধারণ মজার জিনিস গ্যাস বেলুন, কিন্তু তারই সিলিন্ডার ফেটে গিয়ে মর্মান্তিক প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটল জয়নগরে
সুকান্ত-আনন্দ বৈঠকের পরেই প্রশাসনিক বদল, রাজ্যপালের প্রধান সচিবের পদ থেকে সরানো হল আইএএস নন্দিনী চক্রবর্তীকে
ভূমিকম্পের ভয়ে কাঁপছে উত্তর ভারতও, সপ্তাহের শুরুতেই ভোরবেলা কেঁপে উঠল সিকিমের মাটি