সংক্ষিপ্ত

কোভিড-১৯ রোগের ক্ষেত্রে অঙ্কের হিসাব খুব গুরুত্বপূর্ণ

অর্থাৎ আগে থেকে মহামারির বাড়বাড়ন্তের ধারণা করা

সেই অঙ্কের হিসাবই বলছে অবস্থা খারাপ হতে চলেছে ১৮ জুন

আর বাংলার ক্ষেত্রে

ভারতে এখনও পর্যন্ত যেভাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার বাড়ছে সেই অনুসারী তৈরি গাণিতিক মডেলে বলছে ১৮-ই জুন বড় দুর্দিন আসতে চলেছে। ওই দিন ভারতে সক্রিয় কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা শীর্ষে পৌঁছতে চলেছে। কত? ১.৯২ লক্ষ। আরেকটি, প্রক্ষেপণ যা তৈরি হয়েছে এসইআরআই মডেলের উপর ভিত্তি করে তাতেও দেখা যাচ্ছে ওই একই দিনে ভারতে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা সর্বোচ্চ হবে। তবে এই মডেলের হিসাব অনুযায়ী সক্রিয় রোগীর সংখ্য়াটা দাঁড়াবে ২.৭৮ লক্ষে।

সোমবার অর্থাৎ, লকডাউন ৪.০ এর প্রথম দিন ভারতে মোট করোনাভাইরাস রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় অর্থাৎ একদিনে ৪৫৯৫ জন নতুন রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। সক্রিয় মামলার সংখ্যা ৫৮,২২৯। এই হিসাব থেকেই বোঝা যাচ্ছে ১৮ জুন শুধু সক্রিয় মামলার সংখ্যাই ১.৯২ লক্ষ বা ২.৭৮ লক্ষ যেটাই হোক না কেন, সেই ক্ষেত্রে মোট করোনাভাইরাস মামলার সংখ্যা কোথায় পৌঁছতে পারে।  

এর পাশাপাশি ওই গাণিতিক মডেল রাজ্যভিত্তিক সর্বোচ্চ রোগীর দিন ও সংখ্যার অনুমানও প্রকাশ করেছে। ভারতের সবচেয়ে করোনা-ধস্থ রাজ্য মহারাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা দেখা যাবে সম্ভবত ১০ জুন এবং অঙ্কের হিসাব বলছে, ওইদিন মহারাষ্ট্রে সক্রিয় মামলার সংখ্যা থাকবে ৫৫,৫৪৫টি। আর এসইআরআই মডেল বলছে এই সংখ্যাটা হবে ৬৬,৮১৪।

আর তালিকায় মহারাষ্ট্রের পরেই গুজরাত সর্বাধিক মামলায় পৌঁছতে পারে ৭ জুলাই। ওইদিন এই রাজ্যের সক্রিয় কোভিড মামলার সংখ্যা হতে পারে ১৬,৯৮৩ এবং এসইআরআই মডেল অনুসারে ৩৩,৫১৩। তালিকার পরের রাজ্য তামিলনাড়ুতে সর্বোচ্চ মামলা পৌছবে ১৩ জুন তারিখে। এবং গাণিতিক ও এসইআরআই মডেল অনুসারে ওই দিন তামিলভূমে সক্রিয় মামলার সংখ্যা হবে যথাক্রমে ৩০,৯৮০ টি এবং ৪১,৪০২ টি।

আর পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে হিমশিম খাওয়ার অবস্থা হবে জুন মাসের শেষের দিকে। ওই সময় রাজ্যে সক্রিয় মামলার সংখ্যা পৌঁছতে পারে ১৩০০০-এর আশপাশে।