সংক্ষিপ্ত

  • দেশে করোনার দৈনিক সংক্রমণের গতি ফের নিম্নমুখী
  • ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ হাজার ৭০৩ জন
  • মৃত্যু হয়েছে ৫৫৩ জনের
  • ৫ লক্ষের নিচে রয়েছে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা

দেশে করোনার দৈনিক সংক্রমণের গতি ফের নিম্নমুখী। ১১১ দিনে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫ হাজারের নিচে নামল। গতকাল সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ৩৯ হাজার ৭৯৬। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ হাজার ৭০৩ জন। এর ফলে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৬ লক্ষ ১৯ হাজার ৯৩২।

আরও পড়ুন- উঠে গেল নিষেধাজ্ঞা, এই জায়গায় বেড়াতে যেতে পারবেন ভারতীয় পর্যটকরা

আক্রান্তের সংখ্যার সঙ্গে তাল মিলিয়ে কমেছে মৃতের সংখ্যাও। যদিও কয়েকদিন আগে মৃতের সংখ্যা কিছুটা বেড়ে গিয়েছিল। তবে গতকাল থেকে মৃতের সংখ্যাও নিম্নমুখী। গতকাল মৃতের সংখ্যা ছিল ৭২৩। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৫৫৩ জনের। এর ফলে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ৩ হাজার ২৮১। 

অ্যাক্টিভ কেস, অর্থাৎ চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা আজও ৫ লক্ষের নিচেই রয়েছে। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে চিকিৎসাধীন করোনা রোগীর সংখ্যা ৪ লক্ষ ৬৪ হাজার ৩৫৭। কয়েক মাস আগে এই সংখ্যাটা ছিল ৩৭ লক্ষের উপরে। 

আরও পড়ুন- চেন্নাইয়ের হাসপাতালে আচমকা হার্ট অ্যাটাক, চলে গেলেন মুকুল রায়ের স্ত্রী

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫১ হাজার ৮৬৪ জন। ফলে দেশে এখনও পর্যন্ত মোট করোনা জয়ীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৯৭ লক্ষ ৫২ হাজার ২৯৪ জন। সুস্থতার হার ৯৭.১৭ শতাংশ। অন্যদিকে, ইন্ডিয়ান মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল বা আইসিএমআরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সোমবার ১৬ লক্ষ ৪৭ হাজার ৪২৪ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে সোমবার পর্যন্ত ভারতে কোভিড-১৯ এর জন্য ৪২ কোটি ১৪ লক্ষ ২৪ হাজার ৮৮১ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।

আরও পড়ুন- বড়সড় পথ দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেলেন রাজ্যের মন্ত্রী, গাড়ির চাকা ফেটে বিপত্তি

তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের গতি নিম্নমুখী হলেও এখন উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। আর সেই কারণে যতটা দ্রুত সম্ভব দেশবাসীর টিকাকরণ সম্পন্ন করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। এখনও পর্যন্ত ৩৫ কোটি ৭৫ লক্ষ ৫৩ হাজার ৬১২ জনের টিকাকরণ সম্পন্ন হয়েছে। এরই মধ্যে করোনার এক নতুন প্রজাতি ডেল্টা প্লাসের খোঁজ পেয়েছেন গবেষকরা। এই প্রজাতির মাধ্যমে ইতিমধ্যেই ব্রিটেনে সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করে দিয়েছে। এদিকে এই মুহূর্তে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে করোনার সংক্রমণ কম থাকায় শুরু হয়েছে আনলক প্রক্রিয়া। এই পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।