সংক্ষিপ্ত
- হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন পেয়ে মোদী বন্দনায় মজে ট্রাম্প
- এর মাঝেই মার্কিন সংস্থাকে হুঁশিয়ারি দিল ভারত
- ভারতের পরিস্থিতি নিয়ে গুজব রটানো হচ্ছে
- মার্কিন সংস্থাকে সংযত হওয়ার বার্তা দিল ভারত সরকার
সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বশাসিত ওই সংস্থা ট্যুইটারে দাবি করে, ভারতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার জন্য মুসলিম সম্প্রদায়কে দায়ি করে গুজব রটানো হচ্ছে। দেশের রাজনীতিবিদরা এই কাজে মদত দিচ্ছেন। এই বৈষম্য দেশে হিংসার পরিস্থিতি তৈরি করছে।
লকডাউন পরাস্ত করতে পারবে না করোনাভাইরাসকে, নমোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফের সরব হলেন রাগা
ভারতের করোনা যুদ্ধে চিন্তা বাড়াচ্ছে চিন, আমদানি করা পিপিই কিটের মান নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
ভ্যাকসিন না পাওয়া পর্যন্ত চলবে লকডাউন, করোনা মোকাবিলায় সিদ্ধান্তের পথে রানির দেশ
ইউএসসিআইআরএফ-এর করা এই অভিযোগের কড়া সমালোচনা করে জবাব দিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রকও। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, এদেশে কোভিড ১৯ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ধর্মীয় পরিচয় দেখে মোটেও চিকিৎসা করা হচ্ছে না। পাশাপাশি শ্রীবাস্তব মার্কিন ওই সংস্থাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, "মহামারীর বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে লড়ছে গোটা দেশ, এই অবস্থায় ধর্মীয় রঙ লাগিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টা চালাবেন না।"
সম্প্রতি মার্কিন মুলুকে এক সংবাদপত্রে খবর প্রকাশ করা হয় যে, আহমেদাবাদের এক হাসপাতালে কোভিড ১৯ রোগীদের ধর্মের রঙ দেখে পৃথক করা হচ্ছে। তার পরেই বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ইউএসসিআইএফআই। তার প্রত্যুত্তরে কড়া জবাবই শোনা গিয়েছে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রের কন্ঠে। এই ধরণের বিভ্রান্তিকর খবর থেকে যাতে মার্কিন সংস্থাটি দূরে থাকে সেই কথাও মনে করিয়ে দিয়েছে ভারত সরকার।
তবে ভারতের সমালোচনা করার পাশাপাশি মার্কিন ওই সংস্থা সম্প্রতি ট্যুইটারে পাকিস্তানে হিন্দুদের পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিশ্বজুড়ে অতিমারী পরিস্থিতিতে দেশের হিন্দু ও খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের মানুষের পাশে না দাঁড়ানোর জন্য ইমরান খান সরকারকে কড়া ভাষায় তিরষ্কার করা হয়েছে।
বর্তমানে গোটা বিশ্বের মধ্যে আমেরিকায় করোনা সংক্রমণের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। দেশটিকে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৬ লক্ষ ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা ২৮ হাজারের বেশি। এই অবস্থায় ভারতের পাঠান ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনেই করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা চলছে আমেরিকায়। ওষুধ পাওয়ার পর ভারতের কাছে তাঁর দেশ চির ঋণী হয়ে থাকল বলে প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।