সংক্ষিপ্ত
শনিবার বেলা ১১টা বেজে ৬ মিনিটে ওড়িশার বালাসোরে পরক্ষা করা হয়েছিল। এর আগে চলতি বছর ২৮ জুন ক্ষেপণাস্ত্রটি শেষবারের মত পরীক্ষা করা হয়েছিল। তারপর এদিন ফের পরীক্ষা করে দেখা হয়। সূত্রের খবর ক্ষেপণাস্ত্রটি বিকাশের কাছাকাছি অবস্থায় রয়েছে।
পাকিস্তান ও চিনের ক্রমাগত হুমকির মাঝে দাঁড়িয়ে আবারও প্রতিরক্ষাখাতে (Defence) বড় সাফল্য পেল ভারত। শনিবার ওড়িশার বালাসোরের সমুদ্র উপকূল থেকে সফল উৎক্ষেপণ হল পারমাণবিক সক্ষম কৌশলগত অগ্নি প্রাইম মিসাইলের (Nuclear Capable Strategic Agni Prime Missile)। এটি এক হাজার থেকে দুই হাজার কিলোমিটারের মধ্যে যে কোনও লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করতে সক্ষম। এটি অগ্নি (Agani Missile) শ্রেণীর আধুনিক ও উন্নত প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র। এটি ক্যানিস্টারাইজড ক্ষেপণাস্ত্র বলেও দাবি করেছেন এক সরকারি অধিকর্তা। অগ্নিপ্রাইম মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণের জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা বা ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভপলমেন্ট সংস্থাকে (DRDO)।
শনিবার বেলা ১১টা বেজে ৬ মিনিটে ওড়িশার বালাসোরে পরক্ষা করা হয়েছিল। এর আগে চলতি বছর ২৮ জুন ক্ষেপণাস্ত্রটি শেষবারের মত পরীক্ষা করা হয়েছিল। তারপর এদিন ফের পরীক্ষা করে দেখা হয়। সূত্রের খবর ক্ষেপণাস্ত্রটি বিকাশের কাছাকাছি অবস্থায় রয়েছে। কৌশলগত বাহিনীতে অপারেশনাল অন্তর্ভুক্তির জন্য খুব তাড়াতাড়ি এটি প্রস্তুত করা হবে বলেও আশা করেছেন সেনা বাহিনীর কর্তারা। ডিআরডিও-র পক্ষ থেকে জানান হয়েছে পরীক্ষাটি পূর্ব উপকূলে অবস্থানরত টেলিমেট্রি ব়্যাডার, ইলেক্টো অপটিক্যাল স্টেশন ও ডাউনরেঞ্জ জাহাজের মাধ্যমে সম্পূর্ণ পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। ভারতে নতুন প্রযুক্তির ও ক্ষমতা গ্রহণ করে তার কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র অস্ত্রাগারকে আরও শক্তিশালী করার জন্য পরীক্ষা চলছে।
অগ্নি প্রাইম মিসাইল সম্পর্তে বিস্তারিত তথ্যঃ
ডিআরডিএ জানিয়েছে এটি একটি দ্বি-পর্যায়ের ক্যানিস্টাাইজড সলিড প্রপেলান্ট ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, যার দ্বৈত অপ্রয়োজনীয় নেভিগেশন ও গাইডেনস সিস্টেম রয়েছে।
অগ্নি পি ডিআরডিওর মাধ্যমে উৎক্ষেপণ করা অগ্নি ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম শ্রেণী। এটির ওজন অগ্নি -৩এর থেকে ৫০ শতাংশ কম। এতে নতুন নির্দেশিকা ও একটি নতুন প্রজন্মের প্রপোলশন রয়েছে।
যেহেতু অগ্নি পি ক্যানিস্টারাইড, এটি রেল ও সড়ক থেকেও চালু করা যেতে পারে। দীর্ঘ সময়ের জন্য এটি সংরক্ষণ করা যেতে পারে। অপারেশনাল প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী গোটা দেশের যেকোনও স্থান থেকে অন্য স্থানে পাঠান যেতে পারে।
এটি ছিল ক্ষেপণাস্ত্রের দ্বিতীয় ফ্লাইট পরীক্ষা। সিস্টেমের একীভূত সমস্ত উন্নত প্রযুক্তির নির্ভরযোগ্য কর্মক্ষমতা প্রমাণ করেছে, বলেও দাবি করেছি ডিআরডিও।
মিলাইবটির পাল্লা ১০০০ কিলোমিটার থেকে ২০০০ হাজার কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে। এটি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শক্রপক্ষের সেনাদের টার্গেট করা যেতে পারে।
Nagaland Killing: বিক্ষোভে উত্তাল কোহিমা, সেনার বিশেষ ক্ষমতা প্রত্যাহারের দবিতে আন্দোলন