প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তাঁর ব্রিটিশ counterpart কির স্টারমার ২০২৪ সালের নভেম্বরে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বৈঠক করেছিলেন এবং দ্রুত বাণিজ্য আলোচনা পুনরায় শুরু করার গুরুত্ব তুলে ধরেছিলেন।

ভারত এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে ফের শুরু হল বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা। এই ঘোষণা করেছেন বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়াল। একই সঙ্গে ব্রিটেনের ব্যবসা ও বাণিজ্য বিভাগের সচিব জোনাথন রেইনল্ডসও নয়াদিল্লিতে এসে পৌঁছেছেন। বাণিজ্য মন্ত্রকের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনার ফলস্বরূপ এই ঘোষণা এসেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কির স্টারমার ২০২৪ সালের নভেম্বরে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বৈঠক করেছিলেন এবং দ্রুত বাণিজ্য আলোচনা পুনরায় শুরু করার গুরুত্ব তুলে ধরেছিলেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভারত এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা, নতুন প্রযুক্তি, জলবায়ু, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবন, সবুজ অর্থায়ন এবং জনসংযোগের মাধ্যমে গড়ে ওঠা অংশীদারিত্ব রয়েছে। অর্থনৈতিক বৃদ্ধি এবং উন্নয়ন করার ইচ্ছা এই আলোচনার শুরুর মূল কারণ। 

পীযূষ গোয়াল এবং জোনাথন রেইনল্ডস আলোচকদের নির্দেশ দিয়েছেন একটি ন্যায্য এবং সমতাভিত্তিক বাণিজ্য চুক্তি নিশ্চিত করতে হবে। যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে গোয়াল বলেছেন, এটি "একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি" হবে যা উভয় দেশের ব্যবসা এবং জনগণকে বর্তমান ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের দ্বিপাক্ষিক পণ্য বাণিজ্যকে সম্ভবত আগামী দশ বছরে দুই থেকে তিনগুণ বাড়ানোর বিশাল সুযোগ দেবে।

"জোনাথন এবং আমি দুজনেই খুব সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা পুনরায় শুরু করতে সম্মত হয়েছি," তিনি বলেছেন। মন্ত্রী আরও বলেছেন যে উভয় পক্ষই পূর্ববর্তী ১৪ টি রাউন্ডে যে শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি হয়েছে তার উপর ভিত্তি করে এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গোয়াল বলেছেন, দুই পক্ষ "তাড়াহুড়ো না করে দ্রুত" এগিয়ে যাবে।

উল্লেখ্য যুক্তরাজ্য এবং ভারত বিশ্বব্যাপী যথাক্রমে ষষ্ঠ এবং পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে স্থান পেয়েছে। ভারত-ইউকে FTA আলোচনা ১৩ জানুয়ারী ২০২২ সালে শুরু হয়েছিল। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত তেরো রাউন্ড আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ১০ জানুয়ারী ২০২৪ সালে শুরু হওয়া ১৪ তম রাউন্ডের আলোচনা চলছিল যখন ২০২৪ সালের মে মাসে যুক্তরাজ্যের নির্বাচনের কারণে আলোচনা স্থগিত করা হয়েছিল।