সংক্ষিপ্ত
- এনসিসি-র অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
- প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বাড়তে পারে বরাদ্দ
- ইঙ্গিত দিলেন প্রধানমন্ত্রী
- অস্ত্র তৈরিতে জোর দেওয়ার কথাও বলেন তিনি
বার্ষিক বাজেট পেশের আগেই বড় ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার নতুন দিল্লির কারিয়াপ্পা গ্রাউন্ডে জাতীয় ক্যাডেট কর্পস বা এনসিসি(NCC)-র সমাবেশে প্রাধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ বরাদ্দের ইঙ্গিত দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, ভারত খুব তাড়াতাড়ি প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের উরপাদনকারী দেশ হিসেবে পরিচিত হবে। আগামী ১লা ফেব্রুয়া কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন সংসদে বাজেট পেশ করবেন। আশা করা হচ্ছে সেখানে প্রতিক্ষার ব্যয় দ্বিগুণ করা হবে। যদিও ভারত চিন সীমান্তে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই প্রতিরক্ষাখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির ওপর জোর দেওয়া হয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় কখনই পিছিয়ে থাকবে না ভারত। করোনাভাইরাসের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা থেকে শুরু করে সীমান্তের চ্যালেঞ্জ- সবরকম পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে প্রস্তুত রয়েছে দেশ। আর সেই কারণে আত্মনির্ভর ভারত গঠনে জোর দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, ভ্যাকসিন তৈরির মত প্রতিরক্ষা ক্ষেত্র স্বাবলম্বী হওয়াই একমাত্র লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বর্তমান ভারতে রয়েছে আধুনিক প্রযুক্তির অস্ত্র আর যন্ত্রপাতি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আরও বলেন দিন কয়েক আগেই আরও তিনটি রাফাল যুদ্ধ বিমান ফ্রান্স থেকে এসে পৌঁছেছে ভারতে। আরব আমির শাহি, সৌদি আরব ও গ্রিস রীতিমত সহযোগিতা করছে- এর থেকে প্রমান হয়ে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে ভারত। তিনি বলেন প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলির ওপর নির্ভর থাকতে চায় না ভারত। সেইজন্য অস্ত্র আমদানি কমিয়ে দেশীয় প্রযুক্তিতে অস্ত্র তৈরির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। শতাধিক সমরাস্ত্র সম্পর্কিত যন্ত্রপাতি ভারতে তৈরি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ভারতীয় বিমান বাহিনী ৮০টি তেজস যুদ্ধ বিমানের বরাত দিয়েছে।
করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে ভারতের সাফল্য বিশ্বকে প্রভাবিত করবে, বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ...
'সাহসের জন্য গর্বিত', আহত পুলিশ কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ..
ভালো কাজের জন্য এনসিসি ক্যাডেটদেরও প্রশংসা করেছেন তিনি। বলেছেন, বন্যাসহ যেকোনও প্রাকৃতি দুর্যোগ সব কিছু উপেক্ষা করে এনসিসি ক্যাডেটরা দেশের প্রশাসন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতা করেন। একই সঙ্গে মহামারির সময়ই তাঁরা কাজ করেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেন গতবছরই ঘোষণা করা হয়েছিল, উপকূলবর্তী ও সীমান্তবর্তী ১৭৫টি জেলায় এনসিসিকে জায়িত্ব দেওয়া হবে। সেজন্য প্রায় ১ লক্ষ এনসিসিস ক্যাডেট সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেছে। এনসিসির ভূমিকা আরও প্রশারিত হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। সীমান্তবর্তী এলাকায় সুরক্ষা নেটওয়ার্ক আরও জোরদার করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।