সংক্ষিপ্ত

মৌসম ভবন বলেছে, দেশে জুন মাসে ১৮১টি তাপপ্রবাহের দিন রেকর্ড করা হয়েছে। ২০১০ সালে ১৭৭ দিন তাপপ্রবাহ হয়েছিল।

 

এবার ভারতে রেকর্ড গরম পড়েছে। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম তারমাত্রার পারদ চড়েছিল সর্বত্রই। সম্প্রতি গোটা দেশেই সক্রিয় হয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তাপমাত্রার পারদ কিছুটা হলেও নেমেছে। এই সময়ই মৌসম ভবন জানিয়ে দিল এবার ভারতের ভয়ঙ্কর গরমের খবর। মৌসম ভবন বলেছে, এবার গ্রীষ্মে ভারত ৫৩৬টি তাপপ্রবাহের দিনের সাক্ষী থেকেছে। গত ১৪ বছরের মধ্যে এটাই ছিল সর্বোচ্চ। ২০১০ সালের পর এটাই ছিল সর্বোচ্চ। মৌসম ভবন আরও বলেছে, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ১৯০১ সালের পর থেকে এটাই ছিল উষ্ণতম জুন।

মৌসম ভবন বলেছে, দেশে জুন মাসে ১৮১টি তাপপ্রবাহের দিন রেকর্ড করা হয়েছে। ২০১০ সালে ১৭৭ দিন তাপপ্রবাহ হয়েছিল। আইএমডি মহাপরিচালক মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেছেন, 'সালের গ্রীষ্মে, ভারতে মোট ৫৩৬টি তাপপ্রবাহের দিন ছিল, যা ২০১০ সালের পর সর্বোচ্চ (৫৭৮ দিন)। ২০১০এর জুন মাসকেও (১৭৭ দিন) অতিক্রম করে ১৮১টি তাপপ্রবাহের দিন রেকর্ড করা হয়েছে দেশে।'

মৌসম ভবন বলেছে, উত্তর-পশ্চিম ভারতে মাসিক গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮.০২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে স্থির হয়েছে, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১.৯৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। গড় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দাঁড়িয়েছে ২৫.৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ১.৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। উত্তর-পশ্চিম ভারতে জুন মাসে গড় তাপমাত্রা ৩১.৭৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে, যা স্বাভাবিকের থেকে ১.৬৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি এবং ১৯০১ সাল থেকে সর্বোচ্চ।

মৌসম ভবন বলেছে, জুনের শেষের দিকে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। কিন্তু জুন মাসে ভারত সাধারণত তিনটি নিম্মচাপের সাক্ষী থাকে। ম্যাডেন-জুলিয়ান অসিলেশন অনুকূল ছিল না, তাই নিম্নচাপ তৈরি হয়নি বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

মৌসম ভবন বলেছে, এবার ৪০ হাজার হিটস্ট্রোকের ঘটনা ঘটেছে। তাপপ্রবাহের কারণে ১০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে। প্রবল গরমের জন্য জল সংকট দেখা দিয়েছে। পাওয়ার গ্রিডগুলিতেও সমস্যা তৈরি হয়েছে। এপ্রিল , মে, জুন - তিন মাসে তাপপ্রবাহের ঘটনা ঘটেছে। কয়েকটি জায়গার তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার করেছে।