ভারতীয় সেনাবাহিনী বঙ্গোপসাগরে ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। এই পরীক্ষাটি নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে, যা সেনাবাহিনীর দূরপাল্লার আক্রমণ ক্ষমতা এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারতের আত্মনির্ভরতাকে তুলে ধরেছে।
সোমবার বঙ্গোপসাগরে ভারতীয় সেনাবাহিনী ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। আন্দামান ও নিকোবর কমান্ডের সহায়তায় দক্ষিণ কমান্ডের ব্রহ্মোস ইউনিট এই পরীক্ষাটি পরিচালনা করেছে। ক্ষেপণাস্ত্রটি নির্ভুলভাবে তার লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে, যা তার নির্দেশিকা এবং নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার সর্বোত্তম কার্যকারিতা প্রদর্শন করে। সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে সমস্ত পরীক্ষার লক্ষ্য পূরণ হয়েছে এবং ব্রহ্মোস ইউনিটগুলি প্রকৃত অপারেশনাল মিশনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
দূর নিশানায় নির্ভুল আক্রমণ
দক্ষিণ কমান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ধীরজ শেঠ সফল উৎক্ষেপণের প্রশংসা করেছেন, এটিকে সেনাবাহিনীর দূর লক্ষ্যে আঘাত ক্ষমতা শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন যে এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা কেবল প্রযুক্তিগত সাফল্যই প্রদর্শন করে না বরং সেনাবাহিনীর প্রস্তুতি এবং প্রস্তুতিও প্রদর্শন করে।
আত্মনির্ভর ভারতের জন্য একটি উৎসাহ
এই পরীক্ষাটি ভারতের দেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার নির্ভরযোগ্যতাও তুলে ধরে। ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রটি ভারত এবং রাশিয়ার অংশীদারিত্বে তৈরি করা হয়েছিল এবং এখন এটি সম্পূর্ণরূপে ভারতীয় সেনাবাহিনী দ্বারা পরিচালিত হয়। সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে এই সফল পরীক্ষা ভারতের প্রতিরক্ষা স্বনির্ভরতা (আত্মনির্ভর ভারত) শক্তিশালী করে। দেশটি তার আধুনিক ও উচ্চ প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র ক্ষমতার জন্য স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠছে, ভবিষ্যতে যে কোনও নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার ক্ষমতা আরও জোরদার করছে।
ভবিষ্যতের প্রস্তুতির বার্তা
ভারতীয় সেনাবাহিনী এই পরীক্ষাটিকে ভবিষ্যতের কার্যকরীভাবে চ্যালেঞ্জিং পরিবেশের জন্য একটি স্পষ্ট বার্তা হিসেবে দেখেছে। সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে এই সফল ব্রহ্মোস উৎক্ষেপণ প্রমাণ করে যে দেশের দূর নিশানায় আক্রমণ ক্ষমতা অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত। এই পরীক্ষা কেবল সেনাবাহিনীর প্রস্তুতিই প্রদর্শন করে না বরং ভারতের প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিতে স্বনির্ভরতার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপও চিহ্নিত করে।


