সংক্ষিপ্ত
বিবৃতি অনুযায়ী বাংলাদেশে হিন্দু-সহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ যেভাবে অত্যাচারের শিকার হচ্ছে না নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মুসলিম প্রতিনিধি দল।
বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন অব্যাহত। একের পর এক মন্দির নষ্ট করা হচ্ছে। চোখবুজে বসে রয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুস। এই অবস্থায় এই দেশে অবৈধ বাংসাদেশিদের চিহ্নিত করে তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর দাবি উঠেছে। তবে দিল্লিতে এই দাবি নিয়েই দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনার সঙ্গে দেখা করলেন হজরত নিজামুদ্দিন দরগা এলাকার মুসলিম ধর্মগুরু ও স্থানীয় বাসিন্দাদের একটি প্রতিনিধি দল।
শনিবার রাজ নিবাসের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের দাবি সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হয়েছে। বিবৃতি অনুযায়ী বাংলাদেশে হিন্দু-সহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ যেভাবে অত্যাচারের শিকার হচ্ছে না নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মুসলিম প্রতিনিধি দল। তারা একটি চিঠিও দিয়েছে। তাতে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের উদ্দেশে লিখেছে, বাংলাদেশে এই মুহূর্তে হিন্দুদের যা অবস্থা এবং সেদেশের যা পরিস্থিতি তা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। এই পরিস্থিতিতে দিল্লিতে অবৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত কড়া ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। প্রতিনিধি দলটি আরও বলেছে, বাংলাদেশিদের যেন এবার থেকে আর বাড়িভাড়া দেওয়া না হয়। তাদের কোনও প্রতিষ্ঠানে চাকরি না দেওয়া হয়।
মুসলিম প্রতিনিধি দলের দাবি, দিল্লিতে অবৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা অবৈধভাবে সরকারি জমি, ফুটপাথ, পার্ক ও অন্যান্য জায়গা দখল করে রয়েছে। তাদের দ্রুত সেথান থেকে উচ্ছেদ করা জরুরি। এই বিষয়ে পুলিশ ও পুরনিগমকে জরুরি নির্দেশ দেওযার দাবিও জানান হয়েছে। প্রতিনিধি দল অবৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের আধারকার্ড ও ভোটারকার্ড ইস্যু না করারও আবেদন জানিয়েছে। পাশাপাশি কোনও ধর্মীয়স্থানে এদের ঠাঁই না দেওয়ারও আবেদন জানিয়েছে।
বাংলাদেশে হিন্দু সহ বাকি সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার ক্রমশই বাড়ছে। হামলা চালান হচ্ছে ধর্মস্থানেও। পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে ইসকনের মন্দির। এই অবস্থায় সংখ্যালুঘু নির্যাতন রুখতে কোনও পদক্ষেপ করেনি মহম্মদ ইউনুস সরকার।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।