সংক্ষিপ্ত
সেডাক হেলিকপ্টার আগুন নেভানোর কাজে নেমে সমস্যার সম্মুখীন হয়।তারপরই নিয়ে আসা হয় গরুড় হেলিকপ্টারকে।
ভারতীয় নৌবাহিনীর বড় পদক্ষেপ। ব্রহ্মপুরমের বর্জ্য ফেলার জায়গায় আগুন নেভাতে ভারতীয় নৌবাহিনীর অনুসন্ধানী হেলিকপ্টার আইএনএস গরুড় ব্যবহার করা হয়েছে। গড়ুর বায়বীয় এলাকা থেকে তরল বিচ্ছুরণ সরঞ্জাম-সহ অত্যাধুনিক সিস্টেমের সঙ্গে কাজ করে। ভারতীয় নৌবাহিনীর পুরুষ ও মহিলাদের একটি শক্তিশালী দল কেরলের সরকারি সংস্থাগুলির সহযোগিতায় কাজ করেছে। দক্ষিণ নৌ-সদর দফতরের অধীনে ছিল এই দলটি। পাঁচ হাজার লিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি হেলিকপ্টার বেশ কয়েকবার আগুন নেভানোর কাজ করেছে। এর আগে সেডাক হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়েছিল।
সেডাক হেলিকপ্টার আগুন নেভানোর কাজে নেমে সমস্যার সম্মুখীন হয়। কারণ আগুনের কারণে কারখানার উপরিভাগে ধোঁয়ায় ঢাকা ছিল। পাশাপাশি হাই-টেনশন পাওয়ার ক্যেবেলের কারণে সেডাক আগুন নেভাতে সমস্যায় পড়ছিল। তারপরই নিয়ে আসা হয় গরুড় হেলিকপ্টারকে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, গরুড় হেলিকপ্টারের মধ্যমে কাজ অনেক সহজ হয়েছে। অন্যদিকে পঞ্চম দিনেও কোচির ব্রহ্মপুরমের আগুন পুরোপুরি নিভানো যায়নি। ফায়ার ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে প্ল্যাস্টিকের মত দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন নেভানোর কাজে সমস্যা হচ্ছিল। অন্যদিকে ময়ালার ফেলারআর কোনও জায়গা নেই এই শহরে। তাই সমস্য আরও বড় আকার নিয়েছে। পাঁচ দিন ধরে ২৭টিরও বেশি দমকলের ইঞ্জিন কাজ করেছে। কিন্তু সমস্যা সমাধান হয়নি। অন্যদিকে আগুনের মাত্র ৮০ শতাংশই নেভনো গেছে। এখনও ২০ শতাংশ আগুন জ্বলছে। আজও পুরোপুরি আগুন নেভান সম্ভব হয়নি।
বর্জ্য ফেলার স্থানে আগুনের কারণে কোচির বিস্তীর্ণ এলাকা ধোঁয়ায় ঢেকে রয়েছে। দুষণ আরও বাড়ছে। বালারিভট্টম, কালুর , ভয়াথিলার পরে ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে ব্রহ্মপুরম থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে আরুরও। সূর্যাস্তের সময়ও ধোঁয়া দেখে গিয়েছে। কর্পোরেশন শহরের ময়লা বা আবর্জনা সংগ্রহ করলেও কোথায় তা ফেলা হবে তা এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি। কেরল সরকার সূত্রের খবর আগুন পুরোপুরি নিভে গেলে ব্রহ্মপুরম থেকে বর্জ্য স্থানান্তর করা হবে।
আরও পড়ুনঃ
Crime News: 'পাপ চাপা থাকে না!', জাল নোটের তদন্তে নেমে স্ত্রী হত্যার পর্দা ফাঁস করল পুলিশ
Dol Yatra Shopping: দোল থেকে হোলির শুভ সময় এই পাঁচটি জিনিস কিনুন, ফিরবে ভাগ্য
আবারও উদ্ধার কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা, ইডির ১৫ জায়গায় তল্লাশিতে উদ্ধার প্রচুর সোনা - হিরের গয়না