সংক্ষিপ্ত

দোল যাত্রা থেকে হোলি- এই সময়টা খুবই শুভ সময় বলে বিবেচিত হয়। এই সময় কতগুলি জিনিস ঘরে আনলে ভাগ্য ফিরে যায়।

 

দোল যাত্রার শুভ তিথি শুরু হয়ে গেছে। হোলি পড়েছে ৭ ও ৮ মার্চ। কিন্তু বাঙালিদের কাছে সোমবার ন্যাড়াপোড়া, মঙ্গলবার দোলপূর্ণিমা আর বুধবার হোলি। এই সময়টা খুবই শুভ সময় বলে মনে করা হয় হিন্দু জ্যোতিষ শাস্ত্রে। আপনি জানেন কি এই সময়টা কয়েক জিনিস কিনলে আপনি জীবনে সুখ পাবেন। স্বয়ম ভগবান কৃষ্ণ ও দেবী লক্ষ্মী আপনাকে আশীর্বাদ করবেন। জীবন সমৃদ্ধ হবে। আপনি জীবনের প্রতিটি সমস্যা দূর করতে দোল থেকে হোলির দিনের মধ্যে এই জিনিসগুলি কিনতে পারেন।

১. ময়ুরের পালক- প্রাচীন বিশ্বাস ময়ূতের পালক মনের ইচ্ছে পুরণ করেন। দোল পূর্ণিমা থাকার মধ্যেই একটি ময়ূরের পালক কিনুন। সেটি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নামে উৎসর্গ করে ঠাকুর ঘরে রেখে দিন। যদি কৃষ্ণের কোনও মূর্তি থাকে তাহলে তার মাথায় পরিয়ে দিতে পারেন। যদি ঠাকুরের আসন নাও থাকে ঘরের একটি পবিত্র স্থানে সেটি রেখে দিতে পারেন।

২. রুপো- অনেকেই মনে করেন দোল বা হোলির সময় রুপো কেনা শুভ। জ্যোতিষ অনুযায়ী এই সময় একটি রুপোর মুদ্রা আপনার জীবনের অনেক বাধা দূর করতে পারে। জ্যোতিষমতে এই ব্যবস্থা চিরতরে আর্থিক সংকট দূর করতে পারে।

৩. আঙটি- জ্যোতিষ মতে বিশ্বাস করা হয় এই সময় একটি আঙটি কিনলে ভাগ্য ফিরতে পারে। তবে বাড়িতে এটি আনার পরে পুজো করতে হবে। তারপরই সেটি গলায় চেনের সঙ্গে বা হাতে পরতে পারেন। বিশ্বাস করা হয়এটি করতে সংসারে অশান্তি দূর হয়। মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ রপাওযা যায়।

৪. আঙট - মনে করা হয় এই সময় রুপোর আঙট ভাগ্য ফেরাতে পারে। বাড়িতে আনার পরই এটি দুধ দিয়ে ধুনে নিয়ে। তারপর কোনও বিবাহিত মহিলাকে উপহার দিন। চাইলে নিজেও ব্যবহার করতে পারেন। মনে করা হয়ে এটি স্বামী ও স্ত্রীর সম্পর্ক শক্তিশালী করে।

৫. ধর্মগ্রন্থ- ধর্মগ্রন্থ বেদ পুরাণ, রামায়ন, মহাভারত বাড়িতে রাখা সর্বদাই শুভ। তবে এজাতীয় বই যদি দোল বা হোলির দিনে বাড়িতে আনতে পারেন তাহলে ভগবানের আশীর্বাদ পাবেন। আটকে থাকা কাজ দ্রুত সম্পন্ন হতে পারে। জমি ও বাড়ির সমস্যা মিটে যেতে পারে।