সাবধান! সাইবার অপরাধে ভারতীয়রা খোয়াতে পারে ১ লক্ষ ২০ হাজার কোটি টাকা
Cyber Fraud: মোদী সরকারের স্বপ্নের ডিজিটাল ইন্ডিয়ার ভয়ঙ্কর পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা সাইবার ক্রাইম কো-অর্ডিনেশন সেন্টার বা I4C। তাদের সতর্কবার্তা ২০২৫ সালে অনলাইন প্রতারণা দেশবাসী হারাতে পারেন প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার কোটি টাকা।

ভয়ঙ্কর প্রতারণার সতর্কবার্তা
প্রযুক্তি বেকারত্ব ও লোভ-এই তিনের সংমিশ্রণে ভয়ঙ্কর দিন দেখতে চলেছে ভারত। মোদী সরকারের স্বপ্নের ডিজিটাল ইন্ডিয়ার ভয়ঙ্কর পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা সাইবার ক্রাইম কো-অর্ডিনেশন সেন্টার বা I4C। তাদের সতর্কবার্তা ২০২৫ সালে অনলাইন প্রতারণা দেশবাসী হারাতে পারেন প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার কোটি টাকা। দিল্লির একটি বেসরকারি তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা ডেটনলিডস এই তথ্য কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়েছে। তাই এখন থেকেই সাবধান করে দিয়েছে সাইবার ক্রাইম কর্তারা।
KNOW
সাইবার অপরাধ
সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে নতুন নতুন পদ্ধতিতে হচ্ছে সাইবার প্রতারণা। ফোন করে ওটিপি জেনে টাকা চুরি এখন অতীত। QR কোর্ড, আধার ও প্যান কার্ডের তথ্য হাতিয়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সাফ করা হচ্ছে। প্রতারকরা নানা ফন্দি ফিকির বার করছে। জুম কল, হোয়াটসঅ্যাপ কল বা গুগল মিটের মাধ্যমেই অনলাইন করে কর বিভাগ বা সেবি বা ইডির নাম করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করে দিচ্ছে সাইবার অপরধীরা। প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত হচ্ছে ভারতীয়রা। সাইবার ক্রাইম নিয়ে ইতিমধ্যেই সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
সাইবার অপরাধের গ্রাফ
পরিসংখ্যান বলেছে কোভিড-কাল থেকেই এই জাতীয় প্রতারণা বেড়েছে। কোভডকালে একদিকে যেমন অনলাইন লেনদেন বেড়েছে তেমনই পাল্লা দিয়েছে বেড়েছে সাইবার ক্রাইম। ২০২২ সালে সাইবার ক্রাইমের মাধ্যমে তছরুপ হয়েছিল ১ হাজার ৩০৬ কোটি টাকা। ২০২৩ - পরিমাণ - ৭ হাজার ৪৬৫ কোটি। ২০২৪ সালে দ্বিগুণ বেড়েছে সাইবার প্রতারণা। টাকার অঙ্ক ২২ হাজার ৮৪৩ কোটি।
২০২৫ সালের সতর্ক বার্তা
সরকারি সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ২০২৫ সালের জুন মাসে ১ কোটি ৯০ লক্ষ UPI অ্যাকাউন্ট থেকে ২৪ লক্ষ ৩ হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। গত জানুয়ারির হিসেব হল ১৮ হাজার ১২০ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা। সেই হিসেব ধরেই কেন্দ্রীয় সরকার সতর্ক করেছে চলতি বছর সাইবার অপরাধ হতে পারে ১ লক্ষ ২০ হাজার কোটি টাকার। সাবধানে ডিজিটাল লেনদেন করার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ব্যক্তিগত কোড বা ওটিপি শেয়ার না করতেই পরামর্শ সরকারের।
সাইবার অপরাধের কারণ
দেশবাসীর আর্থিক লেনদেনের তথ্য চলে এসেছে একাধিক ‘এনক্রিপ্টেড’ অ্যাপের হাতে। তার সঙ্গে বাড়ছে তথ্য চুরির ঘটনা। অনলাইন প্রতারণার আসল চাবিকাঠি যে সেই তথ্যই! নিত্যনতুন অ্যাপ বার হচ্ছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সাইবার অপরাধ।
বেকারত্বের জ্বালা!
দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা প্রায় ২ কোটি ৯০ লক্ষ। তাঁদেরই একটা বড় অংশ সহজ আয়ের লোভে নাম লেখাচ্ছে এই সাইবার প্রতারকদের দলে। শিক্ষিত হওয়ার কারণে এই সমস্ত অপরাধীদের অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। আর তাদের ভাঁড়ারের সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্রের নাম, ডিপফেক। এই অস্ত্র দিয়ে নিশানা করা হচ্ছে ব্যাঙ্ক, বিমা, স্বাস্থ্য, ব্যবসাক্ষেত্রকে। এর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা।

