সংক্ষিপ্ত

দেশের প্রথম সেমি হাইস্পি়ড আঞ্চলিক রেল পরিষেবার নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে নমো ভারত। আগামিকাল , শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই ট্রেনের উদ্বোধন করবেন।

 

দেশের প্রথম সেমি হাইস্পি়ড আঞ্চলিক রেল পরিষেবার নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে নমো ভারত। আগামিকাল , শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই ট্রেনের উদ্বোধন করবেন। বুধবারই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছিল আরআরটিএস চালু করারই দিনেই তিনি সাহিদাবাদ ও দুহাই ডিপো স্টেশনগুলির সঙ্গে সংযোগকারী একটি ব়্যাপিড এক্স ট্রেনের উদ্বোধন করবেন। এটি একটি "রূপান্তরমূলক" আঞ্চলিক উন্নয়ন উদ্যোগ। এই ট্রেন ১৫ মিনিটে আন্তঃনগর যাতায়াত করতে যাতে পারে সেই কারণে উচ্চগতিসম্পন্নভাবেই ডিজাইন করা হয়েছে। এটি প্রয়োজন অনুযায়ী প্রতি পাঁচ মিনিটের ফ্রিকোয়েন্সি পর্যন্ত যেতে পারে।

যদিও নাম পরিবর্তন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস। জয়রাম রমেশ সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছেন , নমো স্টেডিয়ামের পরে এখনও নমো ট্রেন। তাঁর আত্মমগ্নতার কোনও সীমা নেই। এর আগে আহমেদাবাদের একটি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নামকরণ হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামে। দিল্লি - গাজিয়াবাদ-মিরাট ট RRTS করিডোরের ১৭ কিলোমিটার অগ্রাধিকার বিভাগটি উদ্বোধনের এক দিন পরেই এটি ২১ অক্টোবর থেকে যাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে। সাহিবাবাদ এবং দুহাই ডিপোর মধ্যে অগ্রাধিকার বিভাগে পাঁচটি স্টেশন রয়েছে -- সাহিবাদ, গাজিয়াবাদ, গুলধর, দুহাই এবং দুহাই ডিপো। সিসিটিভি ক্যামেরা, একটি জরুরি দরজা খোলার ব্যবস্থা এবং ট্রেন অপারেটরের ব্যবস্থা ও একটি ট্রেন অপারেটরের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য একটি বোতাম থাকছে। ট্রেনের নিরাপত্তার এটাই গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য।

ট্রেনগুলি এই করিডোরে এমনকি ১৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতেও চলতে পারে, তবে কর্মক্ষম গতি কম রাখা হবে। দিল্লি-গাজিয়াবাদ-মিরাট করিডোরটি ₹ ৩০০০০কোটিরও বেশি ব্যয়ে তৈরি করা হচ্ছে এবং গাজিয়াবাদ, মুরাদনগর এবং মোদীনগরের শহুরে কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে এক ঘন্টারও কম ভ্রমণের সময় দিয়ে দিল্লিকে মিরাটের সঙ্গে যুক্ত করবে। জানিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।