সংক্ষিপ্ত

অনেক যাত্রী নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছতে না পেরে ক্ষোভ দেখান। তাদের তরফ থেকে পাইলট বদলে দেওয়ার দাবি জানানো হতে থাকে। ফলে ওই পাইলটের সঙ্গেই বিমানে উঠতে অস্বীকারও করেন অনেকে।

একদিকে দেশে প্রবেশ করেছে বর্ষা, অন্যদিকে দেশের পশ্চিম উপকূলে তান্ডব চালাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। মুম্বইয়ের আবহাওয়া অবশেষে পরিবর্তিত হতে শুরু করেছে এবং মনে হচ্ছে বর্ষা শেষ পর্যন্ত এখানে এসেছে। ফলে বিমান ওঠানামায় ক্রমশ জটিলতা বাড়ছে। এর ওপর ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের জেরে পশ্চিম উপকূলের চারপাশের আবহাওয়ার অবস্থা বেশ খারাপ। এই সমস্ত কারণের জন্য ইন্ডিগোর একটি ফ্লাইটের অবতরণে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। যাত্রী পরিষেবা ব্যহত হওয়ায় ক্ষোভ বাড়তে থাকবে যাত্রীদের মধ্যে। এই বিশেষ ফ্লাইটটি লখনউ থেকে মুম্বাইয়ের ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বা সিএসএমআইএ-তে যাচ্ছিল।

এই বিশেষ ফ্লাইটটি, যার নম্বর ছিল ৬ই ২৪৪১, লখনউ বিমানবন্দর থেকে সকাল ১১.১০ মিনিটে উড়ান শুরু করে। এরপর দুপুর ১.১৫ মিনিট নাগাদ মুম্বাই বিমানবন্দরে অবতরণের কথা ছিল। তবে অবতরণ সফলভাবে সম্পন্ন করা যায়নি। ফ্লাইটের যাত্রীদের মতে, বিমানটি মুম্বই বিমানবন্দরের চারপাশে দুবার প্রদক্ষিণ করে।

এমনকি এটি একবার রানওয়ে ছুঁয়েওছিল কিন্তু তারপর আবার উড়ে যায়। এরপর ফ্লাইটটি উদয়পুর বিমানবন্দরের দিকে চলে যায় এবং সেখানে অবতরণ করে। যাত্রীরা এই ঘটনায় বেশ বিরক্ত হন। অনেক যাত্রী নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছতে না পেরে ক্ষোভ দেখান। তাদের তরফ থেকে পাইলট বদলে দেওয়ার দাবি জানানো হতে থাকে। ফলে ওই পাইলটের সঙ্গেই বিমানে উঠতে অস্বীকারও করেন অনেকে।

প্রায় তিন ঘন্টা পর, বিমান সংস্থা পাইলট পরিবর্তন করতে সম্মত হয় এবং ফ্লাইটটি রাত ৮ টার দিকে মুম্বইতে নিরাপদে অবতরণ করে। অনেক যাত্রী টুইটারে গিয়ে তাদের হতাশা প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ এমনও উল্লেখ করেছেন যে উদয়পুরে অবতরণ বেশ বিপদজনক ছিল।

যাত্রীদের বিরক্তি দেখে, একজন এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র উল্লেখ করেছেন যে আবহাওয়ার কারণে এমন দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে পশ্চিম উপকূলের আবহাওয়া অবতরণের জন্য উপযুক্ত ছিল না। ফলে পাইলট দিশেহারা হয়ে পড়েন। ফলে অবতরণে সমস্যা শুরু হয়। তিনি সিদ্ধান্ত নিতে না পেরে উদয়পুর বিমানবন্দরের দিকে বিমান উড়িয়ে নিয়ে যান। সেখানে ফ্লাইট অবতরণ করেন তিনি।

মুখপাত্র আরও উল্লেখ করেছেন যে পাইলট, উদয়পুর বিমানবন্দরে অবতরণের পর ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। এ কারণেই বিমান সংস্থা পাইলট পরিবর্তনের অনুমোদন দিয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমসে সম্প্রতি প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুসারে, মুম্বইতে অবতরণের চেষ্টা করার সময়, ফ্লাইটটি উদয়পুরে যাওয়ার আগে সাত হাজার ফুট নিচে নেমেছিল।