সংক্ষিপ্ত
এবার সূর্যের রহস্যভেদ কি করতে পারবে ভারতের মহাকাশ গবেষনা সংস্থা ইসরো? তবে সূর্যের কাছাকাছি পৌঁছে ঠিক কী কী কাজ করবে 'আদিত্য১'?
চন্দ্রজয়ের পর এবার ইসরোর লক্ষ্য সূর্য। সেই নিয়ে চলছে জোড় কদমে প্রস্তুতিও। ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে 'আদিত্য১'-এর উৎক্ষেপ্নের দিনক্ষণ। এবার সূর্যের রহস্যভেদ কি করতে পারবে ভারতের মহাকাশ গবেষনা সংস্থা ইসরো? তবে সূর্যের কাছাকাছি পৌঁছে ঠিক কী কী কাজ করবে 'আদিত্য১'?
সূর্য মিশনের মূল লক্ষ্য
ISRO অনুসারে, আদিত্য-এল 1 মিশনটি সূর্যের উপরের বায়ুমণ্ডল (ক্রোমোস্ফিয়ার এবং করোনা) এবং সৌর বায়ুর সাথে এর মিথস্ক্রিয়া অধ্যয়নের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। মিশনের লক্ষ্য সৌর বায়ুমণ্ডলে আংশিকভাবে আয়নিত প্লাজমার পদার্থবিদ্যা অধ্যয়ন করা।
মহাকাশযানটি সৌর করোনাকে উত্তপ্ত করে এমন প্রক্রিয়াগুলি তদন্ত করবে এবং করোনাল ভর ইজেকশন (সিএমই) এবং সৌর শিখার সূচনা এবং বিকাশ পর্যবেক্ষণ করবে।
এটি সূর্যের আশেপাশে ইন-সিটু কণা এবং প্লাজমা পরিবেশ অধ্যয়ন করবে এবং সৌর করোনার চৌম্বক ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করবে।
এটি মহাকাশ আবহাওয়ার প্রধান চালকদের অধ্যয়ন ও মূল্যায়ন করবে।
উল্লেক্ষ, আদিত্য-এল1 মহাকাশযানটি সূর্যের করোনা, ক্রোমোস্ফিয়ার, ফটোস্ফিয়ার এবং সৌর বায়ু অধ্যয়নের জন্য সাতটি পেলোড দিয়ে সজ্জিত হবে।
ইতিমধ্যেই সূর্য জয়ের লক্ষ্যে পা বাড়িয়েছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। চন্দ্রযান-৩ এর অভাবনীয় সাফল্যের পর এবার আদিত্য এল ১-কে সূর্যে পাঠাতে চলেছে ইসরো। আদিত্য এল ১ একটি কৃত্রিম উপগ্রহ। এটি সূর্যকে পর্যবেক্ষণ করবে এবং তথ্য সংগ্রহ করবে। ইসরোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ২ সেপ্টেম্বর আদিত্য এল১-এর উৎক্ষেপণের সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারে বসানো হয়ে গিয়েছে উপগ্রহটি। এখন প্রশ্ন সূর্যের বিভৎস তাপের সামনে কীভাবে বাঁচবে উপগ্রহটি? সেক্ষেত্রে সূর্যের ঠিক কতটা আছে পাঠানো হবে আদিত্য ওল১-কে?
ইসরোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে পৃথিবী থেকে ১০ লক্ষ কিলোমিটার দূরে পাঠানো হবে আদিত্য এল১-কে। সূর্যের সামনে একটি নির্দিষ্ট দূরত্বে গিয়ে থামবে উপগ্রহটি। এই অবস্থানকে বলা হয় ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট। এই অংশে দু’টি মহাজাগতিক বস্তুর আকর্ষণ এবং বিকর্ষণ বল একসঙ্গে ক্রিয়াশীল। ফলত এই জায়গায় কৃত্রিম উপগ্রহটি স্থির থাকতে পারে।