সংক্ষিপ্ত

এর আগে কয়েক ঘন্টার জন্য নিজেরই টুইটার হ্যান্ডেল ব্যবহারের অ্যাক্সেস হারিয়েছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। সোমবার সকালে বেশ কয়েক ঘন্টার জন্য টুইটার হ্যান্ডেলে সত্যতা যাচাইয়ের নীল রঙের টিকচিহ্ন দেখা গেল না কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নয়া তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখরের অ্যাকাউন্টে।

এর আগে কয়েক ঘন্টার জন্য নিজেরই টুইটার হ্যান্ডেল ব্যবহারের অ্যাক্সেস হারিয়েছিলেন এর আগের কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। নতুন মন্ত্রিসভায় তিনি স্থান পাননি। সোমবার আবার, বেশ কয়েক ঘন্টার জন্য টুইটার হ্যান্ডেলে নীল রঙের টিকচিহ্ন দেখা গেল না নয়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখরের। মাইক্রো-ব্লগিং সাইটটির দাবি, সম্ভবত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলের নাম পরিবর্তন করার কারণেই এই বিপত্তি ঘটেছে।

এতদিন রাজ্যসভার এমপি হিসাবে রাজীব চন্দ্রশেখরের টুইটার হ্যান্ডেলের নাম ছিল, রাজীব_এমপি (Rajeev_MP)।  সম্প্রতি মোদী মন্ত্রিসভার রদবদলের পর তাঁকে কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি ও দক্ষতা উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে। এরপরই টুইটার হ্যান্ডেলের নাম পাল্টে রাজীব চন্দ্রশেখর রাজীব_জিওআই (Rajeev_GOI) করেছিলেন।

এই নীল টিক চিহ্ন, ব্যবহারকারীর সত্যতার পরিচায়ক। অর্থাৎ টুইটার হ্যাান্ডেলের নামের পিছনের ব্যক্তিটি যে ওই ব্যক্তিই তা যাচাই করে ওই টিক চিহ্ন দেয় টুইটার। কী কী কারণে কোনওব্যবহারকারী তা হারাতে পারে? টুইটারের নীতি বলছে কোনও অ্যাকাউন্ট যদি ছয় মাসের জন্য নিষ্ক্রিয় থাকে অথবা কোনও ব্যবহারকারী যদি অ্যাকাউন্টের নাম পরিবর্তন করেন, সেই ক্ষেত্রে টুইটার স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে নীল টিক চিহ্নটি সরিয়ে দিতে পারে।

কর্ণাটকের তিনবারের রাজ্যসভার সাংসদ, রাজীব চন্দ্রশেখর অতীতে বিভিন্ন সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে দায়িত্ব পালন করেছেন। ইলিনয় ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে এমটেক এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অ্যাডভান্সড ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামের করা ভারতের অন্যতম সফল এই উদ্যোগপতি কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় দারুণ সক্রিয়। যদিও নীল টিক চলে যাওয়া এব ফিরে পাওয়া নিয়ে, রবিশঙ্্কর প্রসাদের মতো কোনও কড়া প্রতিক্রিয়া দেননি তিনি। ভারতের নয়া আইটি বিধি মেনে চলা নিয়ে ভারতে  সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছে টুইটারের।