সংক্ষিপ্ত

  • নিজেকে বিষ্ণুর দশম  অবতার বলে দাবি কল্কি ভগবানের 
  • দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে তাঁর আশ্রম রয়েছে
  • আয়কর দপ্তর হানা দেয় তাঁর বিভিন্ন আশ্রমে 
  • পাঁচ কোটি টাকা উদ্ধার কল্কি ভগবানের আশ্রম থেকে

ভারত জুড়ে সাধু সন্তদের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে সাধু সন্তদের আশ্রমের সংখ্যা। আর এই সাধু -সন্তদের বেশিরভাগের সম্পত্তি অনেক কোটিপতিকে হারিয়ে দেয়। এমন এক সাধুক বাড়িতে হানা দিয়ে আয়কর দপ্তরের চক্ষু চড়ক গাছ। শুধু আশ্রম থেকেই বাজেয়াপ্ত হয়েছে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। এই সাধু হলেন স্বঘোষিত ঈশ্বর কল্কি ভগবান। দক্ষিণ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ, তামিল নাড়ু, কর্ণাটকের মতো রাজ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে কল্কি ভগবানের আশ্রম। 

আয়কর দপ্তরের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ুর  প্রায় ৪০টি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। এছাড়া বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, চেন্নাই, বিশাখাপত্তনমের কাল্কি ভগবান ও তাঁর ছেলে কৃষ্ণর অধীনে থাকা বেশ কিছু আশ্রমে তল্লাশি চালানো হয়েছে। তল্লাশি চালানো হয়েছে তামিল নাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশের সীমান্তে চিত্তর এলাকায়।  আয়কর দপ্তর জানিয়েছে, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা এই আশ্রমগুলোয় সারা বছর বিভিন্ন আধ্যাত্মিক কোর্স হয়। সেই সব কোর্সের গ্রাহক সাধারণত বিদেশিরা। আশ্রমগুলোতে এই সমস্ত কোর্সের মাধ্যমে মোটা অংকের লেনদেন চলত কোনও রসিদ ছাড়াই।  কাল্কি ভগবানের বিভিন্ন আশ্রম থেকে ২.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাওয়া গিয়েছে।  অনেক সময় বিদেশিরা এই ধরনের আশ্রমে ব্যাপক পরিমাণে দান করেন।  সেখান থেকেও এই অর্থ আসতে পারে বলে আয়কর দপ্তর মনে করছে। 

নয়ের দশকে বিজয় কুমার নিজেকে বিষ্ণুর দশম অবতার কাল্কি বলে দাবি করতে থাকেন। সেখান থেকেই কল্কি ভগবান হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন। বিজয় কুমার আগে কেরানির চাকরি করতেন। সেখান থেকে বড় বড় বিলাসবহুল আশ্রমের মালিক হয়ে যান তিনি।