সংক্ষিপ্ত
- সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ উপত্যকায়
- শহিদ ৫ নিরাপত্তা রক্ষী
- এক কর্নেল ও এক মেরজ নিহত
- নিকেশ করা গেছে ২ জঙ্গিকে
দেশের করোনা সংকটের মধ্যে আবারও সন্ত্রাসবাদী হামলা জম্মু ও কাশ্মীরে। আর সন্ত্রাসবাদীদের আটকাতে গিয়েই মৃত্যু হল ৫ ভারতীয় সেনা জওয়ানের। মৃতের তালিকায় রয়েছেন এক কর্নেল, এক মেজরসহ ৪ সেনা জওয়ান। সেই তালিকায় রয়েছে জম্মু কাশ্মীর পুলিশের ১ সদস্যও।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছেন গোপন সূত্রের খবর পেয়ে শনিবারই জম্মু কশ্মীর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি দল হানা দেয় কুপওয়ারা জেলার হান্দওয়াড়া এলাকায়। সেখানেই ভারতীয় বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াই চলে জঙ্গিদের। রাতভর চলে সংঘর্ষ। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায় এই এলাকায় এত দীর্ঘ সময় ধরে কখনই গুলির লড়াই চলেনি। রবিবার সকালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তারপরই স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে জঙ্গিদের সঙ্গে এনকাউন্টারে শহিদ হয়েছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর চার সদস্য।
শহিদের তালিকায় রয়েছেন ২১ নম্বর রাষ্ট্রীয় রাইফেলের সদস্য কর্নেল আশুতোষ শর্মা, মেজর অনুজ সুদ, জওয়ান নায়েক রাজেশ ও ল্যান্স লায়েক দীনেশ। এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে জম্মু কাশ্মীর পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর সাকিল কাজির।
জম্মু কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমাটার দূরে হিন্দওয়ারা। এই এলাকায় এনকাউন্টারে এখনও পর্যন্ত দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে জানান হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে। গোটা এলাকাই ঘিরে রেখেছে নিরাপত্তা কর্মীরা। দফায় দফায় চলছে তল্লাশি।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, চাপিমুল্লার একটি বাড়িতে হানাদেয় জঙ্গিরা। বাড়ির বাসিন্দাদের পণবন্দি করার উদ্যোগ নেয়। গোপন সূত্রে সেই খবর পেয়েই সেনা ও জম্মু কাশ্মীর পুলিশ যৌথ অভিযান চালায়। এলাকাদের বাসিন্দাদের বাঁচাতে উদ্যোগ নেয়। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে এই এনকাউন্টারে ক্ষতি হয়নি কোনও সাধারণ নাগরিকের।
৫ সেনা জওয়ানের মৃত্যুর খবর আসার পরই প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং সোশ্যাল মিডিয়ায় শোক জ্ঞাপন করেছেন। তিনি বলেছেন, হান্দওয়ারায় সেনা ও নিরাপত্তা কর্মীদের মৃত্যু বেদনাদায়ক। এই ক্ষতি অপরিসীম। সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাঁরা সাহস দেখিয়েছিল। তাঁদের বীরত্ব ও ত্যাগকে কখনই দেশের মানুষ ভুলবে না।