সংক্ষিপ্ত

নিরাপত্তা বাহিনী রাজৌরির ধানগাড়ি গ্রামে দুটি জঙ্গি হামলায় জড়িতদের ধরতে অভিযান জোরদার করেছে যেখানে দুই দিনে শিশুসহ সাতজন অসামরিক লোক নিহত হয়েছে।

জম্মু ও কাশ্মীরের মেনধারের বালাকোট সেক্টরে দুই জঙ্গিকে নিকেশ করেছে ভারতীয় সেনা। নিরাপত্তা বাহিনী ধানগরি হত্যা মামলায় জড়িত জঙ্গিদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছিল, সেই সময় তাদের সঙ্গে এনকাউন্টার শুরু হয়। পাল্টা অভিযানে দুই জঙ্গি নিহত হয়। নিরাপত্তা বাহিনী এলাকাটি ঘিরে রেখেছে এবং তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রেখেছে। কর্মকর্তারা বলেছেন, সেনা সদস্যরা একটি সীমান্ত গ্রামে সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করে এবং গুলি চালায়, যাতে দুই জঙ্গি গুলিবিদ্ধ হয়। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রবিবার সকালে সেনাবাহিনী এলাকায় অনুসন্ধান অভিযান শুরু করলে নিহত জঙ্গিদের মৃতদেহ পাওয়া যায়।

ইতিমধ্যে, নিরাপত্তা বাহিনী রাজৌরির ধানগাড়ি গ্রামে দুটি জঙ্গি হামলায় জড়িতদের ধরতে অভিযান জোরদার করেছে যেখানে দুই দিনে শিশুসহ সাতজন অসামরিক লোক নিহত হয়েছে। ৫০ মিটার দূরত্বের তিনটি বাড়িতে দুটি সন্দেহভাজন জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি গুলি চালিয়েছিল। পরের দিন, যে বাড়িতে গুলির লড়াই হয়েছিল সেখানে একটি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) বিস্ফোরণে চার ও ১৬ বছর বয়সী দুই শিশু নিহত হয়।

আহতদের সঙ্গে দেখা করেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর

জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা শনিবার রাজৌরি জেলায় সন্ত্রাসী হামলায় আহত বেসামরিক নাগরিকদের অবস্থা জানতে এখানে সরকারি মেডিকেল কলেজ (জিএমসি) হাসপাতালে যান। একজন সরকারী মুখপাত্র বলেছেন, সিনহা আহতদের পরিবারের সদস্যদের সাথেও দেখা করেছেন এবং তাদের সম্ভাব্য সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, বিএসএফের কাছে বিশেষ গোয়েন্দা রিপোর্ট রয়েছে যে সীমান্তের ওপারে ৩০০ জনেরও বেশি জঙ্গি উপস্থিত রয়েছে এবং তাদের লক্ষ্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহায়তায় অনুপ্রবেশ করা এবং একটি বড় হামলা চালানো। চীন ও ভারতের মধ্যে চলমান উত্তেজনার সুযোগ যেন পাকিস্তান না নেয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে নজরদারি বাড়িয়েছে বিএসএফ।

বিএসএফ সীমান্তে তার নতুন কৌশলের অধীনে তিন স্তরের নিরাপত্তা কর্ডন প্রস্তুত করেছে। সীমান্তে সেনারা ক্রমাগত টহল দিচ্ছে। পাশাপাশি বেড়ার উপর অবস্থিত নাকা পয়েন্ট থেকে সেনারা পাকিস্তানের উপর কড়া নজর রাখছে। সীমান্তের স্পর্শকাতর এলাকায় অ্যামবুস বসিয়েছে বিএসএফ। টানেলিং বিরোধী অভিযান চালানো হচ্ছে। বিশেষ করে পাকিস্তান থেকে আসা ড্রোনের ওপর নজর রাখা হচ্ছে।