জম্মু কাশ্মীরে ভূমিধ্বস: উপত্যকা জুড়ে ধ্বংসের ছবি, দেখুন ১০টি মর্মান্তিক ছবি
রবিবার ভারী বৃষ্টির কারণে জম্মু ও কাশ্মীরের রামবন জেলায় ভূমিধ্বস হয়েছে। এর ফলে জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়ক (NH-44) বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভূমিধ্বসের ফলে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আবহাওয়ার উন্নতি না হওয়া এবং উদ্ধার অভিযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত NH-44 এ ভ্রমণ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
রামবন সেক্টরে জাতীয় সড়ক সম্পূর্ণ বন্ধ। যাত্রীদের এই পথে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়ার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত এই সড়কে ভ্রমণ এড়িয়ে চলুন। উদ্ধারকাজ চলছে, তবে মনে হচ্ছে না সোমবার সন্ধ্যা বা মঙ্গলবারের আগে সড়ক খুলবে। এই অঞ্চলে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।
রামবনে ভারী বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টির পর ভূমিধ্বসের কারণে শত শত বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত। অনেক গাড়ি ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে। রবিবার জম্মু ও কাশ্মীরের কিছু অংশে, বিশেষ করে পাহাড়ি এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত, মেঘভাঙা বৃষ্টি এবং ভূমিধ্বসের ঘটনা ঘটেছে।
রামবন জেলায় রবিবার ভোরে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধ্বসের কারণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভূমিধ্বসের কারণে দুটি বাড়ি ধসে পড়ে বাঘানা গ্রামে দুই শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। পরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে চার হয়।
রামবনে ভূমিধ্বসের ফলে ৩০ টিরও বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়ক (NH44) পাহাড় থেকে ধ্বংসাবশেষ পড়ার কারণে উভয় দিক থেকে বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে শত শত যানবাহন আটকা পড়েছে। এটি কাশ্মীরকে দেশের বাকি অংশের সাথে সংযুক্ত করে এমন একমাত্র সড়ক।
রামবন জেলার সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি স্কুল, কলেজ এবং কারিগরি প্রতিষ্ঠান সোমবার বন্ধ রাখা হয়েছে। এখানে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে ভূমিধ্বস এবং আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। রামবনের ডেপুটি কমিশনার জনগণকে বাড়িতে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
আবহাওয়া বিভাগের মতে জম্মু ও কাশ্মীরে আগামী ২৪ ঘন্টায় আরও বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রামবনে উদ্ধার অভিযান চলছে। পুলিশ এবং জরুরি দলগুলি গ্রামবাসীদের নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দিচ্ছে। বৃষ্টি এবং খারাপ আবহাওয়ার কারণে তাদের কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
উদ্ধার অভিযানের সময় বন্যা প্রবণ ধরম কুন্ড গ্রাম থেকে ১০০ জনের বেশি লোককে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এখানে প্রায় ৪০ টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১০ টি বাড়ি সম্পূর্ণ ভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে।

