সংক্ষিপ্ত

জানা যাচ্ছে, গত সোমবার সেনার কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে হারওয়ান এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসবাদী।

আবারও উপত্যকায় বড় সাফল্য পেল নিরাপত্তাবাহিনী। জম্মু-কাশ্মীরে খতম জঙ্গি।

বলা যেতেই পারে, ফের বড় সাফল্য পেল নিরাপত্তাবাহিনী। শ্রীনগরের হারওয়ান এলাকার দাচিগ্রামে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে রাতভর গুলির লড়াই চালায় যৌথবাহিনী। জানা যাচ্ছে, সেই অভিযানেই এক জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার, এই খবর নিশ্চিত করেছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। আপাতত গোটা এলাকা ঘিরে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে সেনাবাহিনী।

জানা যাচ্ছে, গত সোমবার সেনার কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে হারওয়ান এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসবাদী। এরপর সেই রাতেই অভিযানে নামে সেনা, সিআরপিএফ এবং পুলিশের যৌথবাহিনী। পুরোটাই জঙ্গলময় ওই এলাকা ঘিরে ফেলে শুরু হয়ে যায় তল্লাশি। বিপদ বুঝে সেনাকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে দেয় দেশদ্রোহী জঙ্গিরা।

কিন্তু পাল্টা জবাব দেয় সেনাও। রাতভর দুই তরফের মধ্যে গুলির লড়াই চলার পর মঙ্গলবার, ভোরবেলায় এক জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। সেইসঙ্গে, ওই জঙ্গলে আরও দুই থেকে তিনজন জঙ্গি লুকিয়ে থাকতে পারে বলেও অনুমান করছেন আধিকারিকরা। তাই এলাকাজুড়ে শুরু হয়েছে তল্লাশি।

প্রসঙ্গত, বিগত কয়েকমাস ধরেই দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের একাধিক এলাকা। গত ২৩ নভেম্বর, নিরাপত্তাবাহিনীর অভিযানে বারামুলা থেকে উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র। এমনকি, ধ্বংস করে দেওয়া হয় জঙ্গিদের ডেরাও। তার আগে অবশ্য একাধিকবার সেনা কনভয়ে হামলা এবং উপত্যকায় নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করেছে জঙ্গিরা। আর প্রতিবারই পাল্টা জবাব দিয়েছে সেনাও।

এদিকে আবার শীতের মরশুমও শুরু হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরে। ফলে, বিএসএফ-এর চোখে ধুলো দিয়ে সীমান্ত পারাপারের জন্য সাধারণত এই সময়টাকে ব্যবহার করে থাকে জঙ্গিরা। কাশ্মীরের অভ্যন্তরেও শুরু হয় নানা ধরনের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ। যদিও দেশের নিরাপত্তা সবার আগে। তাই প্রস্তুত রয়েছে নিরাপত্তাবাহিনী।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।