- Home
- India News
- কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় মর্মান্তিক মৃত্যু তিন ব্যক্তির, গোটা এলাকা ঘিরে কড়া অভিযান সেনার, দেখুন ছবি
কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় মর্মান্তিক মৃত্যু তিন ব্যক্তির, গোটা এলাকা ঘিরে কড়া অভিযান সেনার, দেখুন ছবি
- FB
- TW
- Linkdin
হাইব্রিড জঙ্গিদের হাতে টার্গেট কিলিং বন্ধ করতে, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ একটি নতুন পরিকল্পনা তৈরি করেছে। এ জন্য পুলিশ নতুন স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (SoP) এবং এরিয়েল ডমিনেশন প্ল্যান (ADP) বাস্তবায়ন করেছে।
এই নতুন পরিকল্পনার উদ্দেশ্য কাশ্মীর পণ্ডিত এবং অ-স্থানীয়দের টার্গেট কিলিং থেকে বাঁচানো এবং হাইব্রিড সন্ত্রাসীদের নির্মূল করা। তবে তাতেও শেষরক্ষা হচ্ছে না।
রবিবার কাশ্মীরে জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ হারালেন তিন নিরপরাধ নাগরিক। ঘটনাস্থলেই তিন সাধারণ মানুষ মারা যায়। একই সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনী গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে ও জঙ্গিদের খোঁজে অভিযান শুরু করে।
নিরাপত্তা বাহিনী সন্ত্রাসীদের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে এবং এলাকাটিকে সেনার অস্থায়ী ঘাঁটিতে পরিণত করা হয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, রাজৌরির ডাংরি এলাকায় গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে। এতে কয়েকজন আহতও হয়েছেন।
জানা গিয়েছে আহত সকলকে চিকিৎসার জন্য নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ বলছে, এখনই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে যে তিনটি বাড়িতে এই গুলি চালানো হয়, যার ফলে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যায়। বাকি আহতদের ভর্তি করা হয়েছে।
মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট ডা. মাহমুদ জানিয়েছেন, এ ঘটনায় ৩ জন নিহত ও ৭ জন আহত হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ ও জেলা প্রশাসন। আহতদের শরীরে বেশ কিছু গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে এবং ত্রাণ উদ্ধারের পাশাপাশি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তল্লাশি অভিযানও চালানো হচ্ছে।
জঙ্গি হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিরাপত্তা কর্মীরা পুরো এলাকাটি ঘিরে রেখেছে এবং সন্ত্রাসীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। তবে কতজন সন্ত্রাসী গুলিবর্ষণে জড়িত তা এখনও জানা যায়নি। পুলিশ ও জেলা প্রশাসন ঘটনাস্থলে পৌঁছে তল্লাশি অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের ডিজিপি দিলবাগ সিং দাবি করেছেন যে উপত্যকায় জঙ্গিদের কোনো শীর্ষ কমান্ডার অবশিষ্ট নেই। তিনি আরও বলেছেন যে এই বছর কাশ্মীরে সক্রিয় ৪৪ সন্ত্রাসবাদী কমান্ডার এনকাউন্টারে খতম হয়েছে।
উপত্যকায় সন্ত্রাস এখন শেষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে। যুবক ও স্থানীয় মানুষ এখন পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীকে সহায়তা করছে, যার কারণে জঙ্গিরা তাদের পরিকল্পনায় ব্যর্থ হচ্ছে।