সংক্ষিপ্ত
- হাসপাতালেই তবরেজের মৃত্যু হয়
- এই ঘটনায় গোটা দেশ উত্তাল। পথেও নামছেন বুদ্ধিজীবীরা
- গত তিন বছরে ঝাড়খণ্ডে গণপিটুনিতে মৃত্যুর সংখ্যা বেঁড়ে দাড়িয়েছে ১৬
বল জয় শ্রীরাম, বল জয় হনুমান। ১৮ ঘণ্টার মারে নিথর হয়ে আসা দেহটাকে কোনও মতে জাগিয়ে রেখে বলেওছিল সে। তবুও তাঁর শেষরক্ষা হয়নি। গত ১৭ জুন মোটরসাইকেল চুরির অপবাদে ২৪ বছরের যুবক তবরেজ আনসারিকে পিটিয়েই মেরে ফেলেছে ঝাড়খণ্ডের উন্মত্ত জনতা।
মরণাপন্ন অবস্থায় তাঁকে আদালতেও নিয়ে যাওয়া হয়। আদালত তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। জেল হেফাজতে শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাবরেজকে। হাসপাতালেই তাবরেজের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় গোটা দেশ উত্তাল। পথেও নামছেন বুদ্ধিজীবীরা। গত তিন বছরে ঝাড়খণ্ডে গণপিটুনিতে মৃত্যুর সংখ্যা বেঁড়ে দাড়িয়েছে ১৬। মৃত ব্যক্তিরা প্রত্যেকেই ইসলাম ধর্মাবলম্বী।
মূল খবরটি পড়ুনঃ 'বল জয় শ্রীরাম, বল জয় হনুমান', ১৮ ঘণ্টা ধরে পিটিয়ে মারা হল ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দাকে
জানা যাচ্ছে মাত্র মাস দেড়েক আগেই বিয়ে হয়েছিল তবরেজের। মাত্র তিন বছর বয়েসে মাকে হারিয়েছিল তাবরেজ। ২০০৫ সাালে তবরেজের বাবা মারা যায়। বাড়ি ছাড়ার আগে পুনেতে ঝালাই মিস্ত্রির কাজ করা তবরেজ বলেছিল বন্ধুদের সঙ্গে জামশেদপুরে কাজে যাচ্ছে সে। তবরেজের ছোটবেলার বন্ধু লক্ষ্মণ আনসারী জানাচ্ছেন, তবরেজের বাবার মৃত্যুও ছিল রহস্যজনক। ১৪ বছর আগে বাড়ি থেকে কাঠ কাটতে গিয়ে আর ফেরেননি তিনি। জঙ্গলে কয়েকদিন বাদে তাঁর দেহ পাওয়া যায়। বাবারই মত অকালমৃত্যু হল তবরেজেরে। হিংসায় উন্মত্ত মানুষ বাঁচতে দিল না তাঁকে। সোনু তথা তবরেজের বন্ধুরা বলছেন, তবরেজদের পরিবারের কপালে অভিশাপ রয়েছে। আপাতত সুবিচারের পথ চেয়ে বসে থাকা ছাড়া তবরেজের স্ত্রী-এর জীবনে কোনও পথ নেই।