সংক্ষিপ্ত

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, করোনার জন্য অনেকটাই পিছিয়ে গিয়েছে কাজ। শুধুমাত্র চন্দ্রযান ৩-এর কাজই যে দেরি হয়েছে তা নয় আরও বেশ কিছু পরিকল্পনাই পিছিয়ে গিয়েছে। 

চাঁদের (Moon) দক্ষিণ মেরুতে কী রয়েছে, তা জানতেই চন্দ্রযান-২ (Chandrayaan-2) অভিযান করেছিল ইসরো। কিন্তু, সফল হয়নি সেই অভিযান। চাঁদের পিঠে নামার পরই ইসরোর (Indian Space Research Organisation) সঙ্গে চন্দ্রযানের যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। আর সেই ব্যর্থতার পর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল চন্দ্রযান ৩-এর (Chandrayaan-3) প্রস্তুতি। কিন্তু, করোনার (Corona) জেরে অনেকটাই পিছিয়ে গিয়েছে কাজ। অনেক দিন আগেই এই অভিযান শুরু হওয়ার কথা ছিল। যদিও তা সম্ভব হয়নি। অবশেষে সব বাধা পেরিয়ে চলতি বছরের অগাস্টে চাঁদে পাড়ি দিতে চলেছে চন্দ্রযান-৩। বৃহস্পতিবার এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে লোকসভায় একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং (Jitendra Singh)। 

জানানো হয়েছে, সব পরীক্ষা নিরীক্ষা প্রায় সম্পূর্ণ। চলতি বছরের অগাস্টেই উৎক্ষেপণ করা হবে চন্দ্রযান-৩-কে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, করোনার জন্য অনেকটাই পিছিয়ে গিয়েছে কাজ। শুধুমাত্র চন্দ্রযান ৩-এর কাজই যে দেরি হয়েছে তা নয় আরও বেশ কিছু পরিকল্পনাই পিছিয়ে গিয়েছে। তবে এবার ইসরো (ISRO) প্রস্তুত সেই পরিকল্পনাগুলি সফল করতে। চলতি বছরে ৮টি লঞ্চ ভেহিকল মিশন, ৭টি মহাকাশযান মিশন এবং ৪টি প্রযুক্তি প্রদর্শনকারী মিশনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে ইসরো।

আরও পড়ুন- অনুমতি দেওয়ার জন্য রাহুলকে 'শিক্ষা' স্পিকারের, দিলেন কড়া ধমক

কেমন হবে চন্দ্রযান-৩? 
এ বিষয়ে ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, নতুন চন্দ্রযানে ল্যান্ডার, রোভার থাকবে। তবে অরবিটার থাকবে না। আগামী বছর চাঁদের মেরুতে অবতরণের উদ্দেশে তাকে পাঠানো হবে। চন্দ্রযান ২-তেও এই সবই ছিল। শুধুমাত্র সেখানে অরবিটার ছিল। বহু দিন আগেই চাঁদে পাড়ি দিয়েছিল মানুষ। কিন্তু, চাঁদের দক্ষিণ মেরু আজও সবার কাছেই অজানা রয়ে গিয়েছে। সেখানে ঠিক কী রয়েছে তা খুঁজে বের করতেই ইসরোর তরফে পাঠানো হয়েছিল চন্দ্রযান ২। ইসরের তরফে দাবি করা হয়েছিল, এই অভিযানের ফলে মানব সভ্যতার অনেক উপকার হবে।

আরও পড়ুন- সবকিছু ঠিক থাকলে স্বাধীনতার ৭৫ বছরেই ২টি গুরুত্বপূর্ণ উৎক্ষেপণ, আর কি বললেন ইসরো চিফ

অনেক আশা নিয়েই ২০১৯ সালের জুলাই চাঁদের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছিল চন্দ্রযান ২। ২২ জুলাই চাঁদের পিঠে অবতরণের সময় ভেঙে পড়েছিল ল্যান্ডার বিক্রম। তার ফলেই ইসরোর সঙ্গে ল্যান্ডারের (lander vikram) যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তবে অরবিটারটি অক্ষত থাকায় তা এখনও সক্রিয়ভাবে কাজ করে চলেছে। আর চন্দ্রযান ২ এর যাবতীয় ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়েই এবার আগে থেকেই প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিয়েছে ইসরো। 

আরও পড়ুন- মহাকাশ গবেষণার ধারনা বদলে দিতে পারে SSLV,আর কি বললেন ইসরোর নয়া চিফ

তবে শুধুমাত্র চন্দ্রযান ৩ নয়, ইসরো ব্যস্ত রয়েছে ‘মিশন গগনযান’ নিয়েও। এটাই ভারতের প্রথম মানব মহাকাশ অভিযান (Human Space mission)। এই মিশনটিকেও সফল করে তুলতে পারলে ভারত যে মহাকাশ গবেষণায় অনেকটা এগিয়ে যেতে পারবে, তা সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত।