সংক্ষিপ্ত

  • জেএনইউ-তে হামলার প্রভাব পড়ছে ভারতের অর্থনীতিতেও
  • মোদী সরকারের কমিটি থেকে পদত্যাগ করলেন বিশিষ্ট অধ্যাপক
  • অর্থনীতির হাল ফেরাতে তথ্যের বিশ্লেষণ করার কথা এই কমিটির
  • অর্থনীতিবিদের মতে সরকারের উপর আস্থা হারিয়েছে মানুষ

 

জেএনইউ-এ রবিবার রাতের মুখোশধারীদের হামলার জল গড়ালো অনেকদূর। ঘটনার প্রতিবাদে মোদী সরকারের গঠন করা পরিসংখ্যান কমিটি থেকে পদত্যাগ করলেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্য়ালয়ের বিশিষ্ট অধ্যাপক সিপি চন্দ্রশেখর। ভারতের বেহাল অর্থনীতির হাল ফেরাতে অর্থনৈতিক তথ্যের বিশ্লেষণ করে আগামী দিনের রোডম্যাপ গড়ার কথা এই কমিটির। তাঁদের রিপোর্ট আসন্ন কেন্দ্রীয় বাজেটের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিন্তু কমিটির প্রথম বৈঠকের ঠিক আগেই ইস্তফা দিলেন অধ্যাপক চন্দ্রশেখর।

গত মাসেই স্ট্যাটিসটিক্স অ্যান্ড প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেন্টেশন মন্ত্রক, প্রাক্তন প্রধান পরিসংখ্যানবিদ প্রণব সেনের নেতৃত্বে অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান সম্পর্কিত স্ট্যান্ডিং কমিটি গঠন করেছিল। অর্থনৈতিক তথ্যভান্ডার-এর তথ্যের উত্স, সূচক, ধারণা বা সংজ্ঞা এবং অন্যান্য বিষয় সম্পর্কিত বিদ্যমান কাঠামো-র পর্যালোচনা করে এই কমিটিকে রিপোর্ট দিতে হবে। এই প্যানেল গঠন করার সময়, পরিসংখ্যান ব্যবস্থায় 'রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ' করার অভিযোগ উঠেছিল। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি)-ইউ এই কমিটির সদস্যদের প্রথম বৈঠক হওয়ার কথা।  

আরও পড়ুন - জেএনইউ হামলার দায় নিল হিন্দু রক্ষা দল, সঙ্গে দিল হুঁশিয়ারি, দেখুন ভিডিও

কিন্তু সেই বৈঠকের ঠিক আগে এদিন, কমিটির অন্যতম সদস্য তথা জেএনইউ-এর সেন্টার ফর ইকোনমিক স্টাডিজ অ্যান্ড প্ল্যানিং-এর অধ্যাপক সিপি চন্দ্রশেখর কমিটির বাকি সদস্যদের ই-মেইল করে জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক অতীতে পরিসংখ্যান ব্যবস্থা বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। আর তাঁর মনে হচ্ছে বর্তমান পরিস্থিতিতে এই কমিটির পক্ষে তা পুনরুদ্ধার করার সম্ভাবনা কম।

আরও পড়ুন - ঐশীদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ জেএনইউ প্রশাসনের, ১৯ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর

এছাড়া এক সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে চন্দ্রশেখর বলেছেন, জেএনইউতে আক্রমণের ফলে 'সরকারের প্রতি মানুষের আস্থা আরও কমেছে। এই ঘটনার পর স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, আমরা এখন একটা অন্যরকম বিশ্বে বাস করছি। সরকারের উপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেললে, তাদের সঙ্গে কাজ করা শক্ত'।

আরও পড়ুন - 'জেএনইউ-এর ঘটনা গট আপ গেম, প্রচারে থাকতে ইস্যু খুঁজছে বামেরা'

রবিবার জেএনইউতে অজ্ঞাতপরিচয় মুকোশধারী গুন্ডারা শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উপর তীবব্র হামলা চালায়। এই ঘটনায় ভারতজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। হিংসার ঘটনা চলার সময় নিষ্ক্রিয়তার জন্য দায়ী করা হচ্ছে উপাচার্যকে। তাঁর পদত্যাগ দাবি করেছে ছাত্র সংসদ। এরস আগে জেএইউ-এর গার্লস হস্টেলের ওয়ার্ডেন-ও ছাত্রীদের নিরাপত্তা না দিতে পারার ব্যর্থতা মেনে পদত্যাগ করেন।

আরও পড়ুন - বিকেলে ডাকা হলেও আসেনি পুলিশ, মাথায় ১৬ টা সেলাই নিয়ে জানালেন ঐশী

সিপি চন্দ্রশেখর-এর মতো বিশিষ্ট ব্যক্তির পদত্যাগের পর সরকারি কমিটির বাকি সদস্যরা কী করেন, আদৌ এদিনের বৈঠক হয় কি না সেটাই দেখার।