সংক্ষিপ্ত

  • জেএনইউএসইউ-এর সভাপতি ঐষী ঘোষ-এর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের
  • নাম রয়েছে ছাত্র সংসদের আরও ১৯ জনের
  • তাঁদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তারক্ষীদের উপর হামলা এবং সার্ভার রুমে ভাঙচুরের অভিযোগ
  • অভিযোগ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ

 

জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভাপতি ঐষী ঘোষ-এর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। শুধু ঐশীই নয়, একই সঙ্গে ছাত্র সংসদের আরও ১৯ জনের বিরুদ্ধে নিরাপত্তারক্ষীদের উপর হামলা এবং সার্ভার রুমে ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়েছে। জেএনইউ-তে রাতের অন্ধকারে মুখোশধারীদের হামলার একদিন আগেই এই কাণ্ড তারা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ। এই মর্মে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তার ভিত্তিতেই ৫ জানুয়ারি এই এফআইআর দায়ের করা হয়।

রবিবার এই এফআইআর ছাড়াও রাতের হামলার বিষয়ে আরও দুটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে পুলিশ। তবে হামলার দুই দিন পরেও দিল্লি পুলিশ জেএনইউ কাণ্ডে কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি। এই ঘটনায় দেশের অন্যান্য বহু বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন - জেএনইউ হামলার প্রভাব অর্থনীতিতেও, বৈঠকের আগেই পদত্য়াগ মোদী-নিযুক্ত অধ্যাপকের

আরও পড়ুন - বিকেলে ডাকা হলেও আসেনি পুলিশ, মাথায় ১৬ টা সেলাই নিয়ে জানালেন ঐশী

রবিবার সন্ধ্যায় জেএনইউ ক্যাম্পাসে রড ও লাঠি নিয়ে মুখোশধারী গুন্ডাদের হামলায় গুরুতর জখম হন জেএনএসইউ সভাপতি ঐশী ঘোষ। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় তাঁর রক্তাক্ত ছবি ধরা পড়েছিল। ওই ঘটনায় ঐশী-সহ প্রায় ৩০ জন আহত হন। তাঁদের মধ্যে ছাত্রছাত্রীরা তো আছেনই, আছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। সোমবার রাতে অবশ্য হাসপাতাল থেকে তাঁদের সকলকেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এক অধ্যাপিকা জানিয়েছেন শরীরের আঘাতের শুশ্রুষা হলেও তাঁদের মনে যে আঘাত লেগেছে তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতেই তিনি ভয় পাচ্ছেন।

আরও পড়ুন - 'জেএনইউ-এর ঘটনা গট আপ গেম, প্রচারে থাকতে ইস্যু খুঁজছে বামেরা'

আরও পড়ুন - জেএনইউ হামলার দায় নিল হিন্দু রক্ষা দল, সঙ্গে দিল হুঁশিয়ারি, দেখুন ভিডিও

ঐশী ঘোষ সোমবার হাসপাতাল থেকেই বলেছেন, রবিবার ক্যাম্পাসে 'সংগঠিত' হামলায় লোহার রড দিয়ে তাঁকে মারা হয়। তবে শিক্ষার্থীদের উপর নেমে আসা প্রতিটি রডের আঘাতের জবাব বিতর্ক ও আলোচনার মাধ্যমেই দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি তাঁরা কখনই নষ্ট হতে দেবেন না। একই সঙ্গে জেএনইউ-এর ছাত্র সংসদ উপাচার্য এম জগদীশ কুমারের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, তিনি আহত শিক্ষার্থী ও অধ্যাপকদের সঙ্গে একবার দেখা করা বা খোঁজ নেওয়ারও প্রয়োজন মনে করেননি। হামলার সময় তাঁর যে ভূমিকা নেওয়া প্রত্যাশিত ছিল তা তিনি নেননি।