সংক্ষিপ্ত

প্রতিবেশীর বাড়িতে ঝগড়া মেটাতে গিয়ে খুন সাংবাদিক! ভয়াবহ ঘটনা বিহারে

বিহারের পূর্ণিয়া জেলায়  ভয়াবহ ঘটনা।  দৈনিক হিন্দি সংবাদপত্রের সাংবাদিক নীলাম্বর যাদব (৩৫) কে খুন করা হয়েছে। শুক্রবার মধ্যরাতে প্রতিবেশীরা তাকে বাড়ি থেকে ডেকে পাঠায়। এরপর তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া মেটাতে নীলাম্বরকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। এরপর লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে তাকে হত্যা করা হয়।

ঘটনার পর অভিযুক্ত এবং তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক। ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। আহত অবস্থায় দেখতে পাওয়ার পর তাঁর পরিবারের লোকজন আশপাশের লোকজনের সাহায্যে নীলাম্বরকে হাসপাতালে নিয়ে যায়, কিন্তু চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারের দাবি, ঝগড়া মেটানোর কারণে তাঁকে বাড়ি থকে ডেকে এনে হত্যা করা হয়েছে। নীলাম্বর সবসময় সবার সাহায্য করতেন। গতরাতে তিনি ওই দম্পতির ঝগড়া মেটাতে গিয়েছিলেন।

সাংবাদিকের পরিবার পুলিশের কাছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেছে। নীলাম্বর সবার সাহায্য করতেন। তার কারও সাথে কোন শত্রুতা ছিল না। নীলাম্বরের স্ত্রী সুইটি কুমার জানান, গভীর রাত পর্যন্ত আমরা বাড়িতে বসে ছিলাম। ঠিক তখনই প্রতিবেশীদের বাড়িতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। এরপর প্রতিবেশী নীলাম্বরকে ডেকে ঝগড়া মেটানোর কথা বলে। এরপর নীলাম্বর ঝগড়া মেটাতে বের হন।

স্ত্রীর মতে, প্রতিবেশী নীরজ যাদব, তার ছেলে নিশু যাদব, চাচাত ভাই প্রমোদ যাদব এবং পুরো পরিবার মিলে আমার স্বামীকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। পুলিশের কাছে আবেদন, এই ঘটনাকে গুরুত্ব সহকারে দেখে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করা হোক। ঘটনার পর মৃতের ভাই পীতাম্বর যাদব জানান, শুক্রবার গভীর রাতে প্রতিবেশীদের বাড়িতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হচ্ছিল। স্বামী নিশু যাদব ওরফে নিশান্ত যাদব এবং স্ত্রী ভবানী কুমারীর মধ্যে ঝগড়া হচ্ছিল।

ভাইয়ের মতে, কিছুক্ষণ পর রাত প্রায় ১:১৫ মিনিটে নিশুর বাবা দরজায় এসে নীলাম্বরকে ডাকতে থাকেন। ভাই দরজা খোলেন। নিশুর বাবা ছেলে-বউয়ের ঝগড়া মেটানোর অনুরোধ করেন। এরপর ভাইয়া সেখানে যান। কিছুক্ষণ পর শোরগোল শুনে আমরা সেখানে গেলে দেখি ভাইয়া মাটিতে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন। আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই, কিন্তু চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর অভিযুক্তের বাবা নীরজ যাদব, স্ত্রী ভবানী কুমারী সহ বাড়িতে উপস্থিত সবাই পালিয়ে যায়।