সংক্ষিপ্ত
এই বছর ডিসেম্বরের মধ্যেই বিজেপি নতুন সর্বভারতীয় সভাপতি নিয়োগ করবে। তারই লক্ষ্য নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করেছে। এই পদক্ষেপের জন্য ১ অগাস্ট থেকেই সর্বভারতীয় সভাপতি পদে নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হবে।
ভারতীয় জনতা পার্টির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার মেয়াদ শেষ। যদিও আগেই তাঁর মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দায়িত্ব রয়েছে তাঁক কাঁধে। এই অবস্থায় তাঁকে আর বিজেপির সর্বভারতীয় পদে রাখা যাবে না। ফলে গেরুয়া শিবির এখন নতুন সভাপতির খোঁজে ব্যস্ত।
এই বছর ডিসেম্বরের মধ্যেই বিজেপি নতুন সর্বভারতীয় সভাপতি নিয়োগ করবে। তারই লক্ষ্য নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করেছে। এই পদক্ষেপের জন্য ১ অগাস্ট থেকেই সর্বভারতীয় সভাপতি পদে নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হবে। জাতীয় সভারতি নির্বাচনের আগে জেলা ও রাজ্য ইউনিটগুলিকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি সদস্যপদ সংগ্রহের ওপরেও জোর দেওয়া হবে।
বিজেপির নতুন জাতীয় সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হবে১ অগাস্ট থেকে। একই সঙ্গে শুরু হবে সদস্য সংগ্রহ অভিযানও। তবে এই অভিযান চলবে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ১৬ সেপ্টেম্বর - ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সক্রিয়া সদস্য অভিযান চালাবে গেরুয়া শিবির। ১-১৫ অক্টোবর পর্যন্ত সক্রিয়া সদস্যপদ যাচাই করা হবে। বিজেপি দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, প্রত্যেক সদস্যকে প্রতি নয় বছর অন্তর তাদের সদস্যপদ নবায়ন করতে হবে। এই বছর, সদস্যপদ প্রচারের জন্য প্রধানমন্ত্রী, দলের সভাপতি এবং সব দলের নেতাদের তাদের সদস্যপদ নবায়ন করতে হবে।
বিজেপি সূত্রের খবর ১ নভেম্বর ০ ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত বিজেপির মণ্ডল সভাপতি নির্বাচন হবে। ১৬-৩০ নভেম্বরের মধ্যে জেলা সভাপতি চূড়ান্ত করা হবে। তারপরই রাজ্য পরিষদ ও কেন্দ্রীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচন হবে। এই নির্বাচনের পরই রাজ্য় সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
বিজেপি সূত্রের খবর রাজ্য সভাপতি নির্বাতন ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে। ৫০ শতাংশ নির্বাচন সম্পন্ন হবে জাতীয় সভাপতি নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু হবে। সেই অর্থে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মেয়াদও ডিসেম্বর পর্যন্ত। ডিসেম্বর থেকেই বিজেপির সংগঠনের মধ্যে বড়সড় রদবদল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রাথমিক থেকে কেন্দ্রীয় স্তর পর্যন্তই পরিবর্তন করা হতে পারে সংগঠন। তেমনই গুঞ্জন বিজেপির অন্দরে।