সংক্ষিপ্ত

দুর্ঘটনায় মৃত অঞ্জলির বন্ধু আগে উত্তর প্রদেশের মাদল চোরাচালানের মামলায় গ্রেফতার হয়েছিল। ট্রেনে গাঁডা নিয়ে যাওযার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

শনিবার দিল্লির আদালত থেকে জামিন পেয়েছে অঙ্কুশ খান্না। কানঝাওয়ালা দুর্ঘটনায় মামলায় অভিযুক্তদের রক্ষা করার জন্য সেই ছিল মূল অভিযুক্ত। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সানিয়া দালাল খান্নাকে এই ত্রাণ মঞ্জুর করেছেন। অঙ্কুশ খান্না শুক্রবারই দিল্লি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ জামিন যোগ্য বলে বিবেচনা করেছেন বিচারক। বিচারক জানিয়েছেন, তদন্তকারী অফিসারদের মতে অঙ্কুশ খান্না পুলিশের কাছে তার বিবৃতিতে বলেছিল যে অভিযুক্তি দীপক গাড়িটি চালাচ্ছিল। তবে তদন্তে দেখা গেছে গাড়ি চালাচ্ছিল অমিত।

তদন্তকারী সূত্রের খবর, দুর্ঘটনায় মৃত অঞ্জলির বন্ধু আগে উত্তর প্রদেশের মাদল চোরাচালানের মামলায় গ্রেফতার হয়েছিল। ট্রেনে গাঁডা নিয়ে যাওযার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার সঙ্গে থাকা অন্য দুই পুরুষও গ্রেফতার হয়েছিল। অঞ্জলি সিং নববর্ষের প্রথম প্রহরে তার স্কুটারটিকে একটি গাড়ির সাথে ধাক্কা দেওয়ার পরে মারা যায় যা তাকে সুলতানপুরী থেকে কানঝাওয়ালা পর্যন্ত ১২ কিমি টেনে নিয়ে যায়। তার বন্ধু পাশে পড়ে যায় এবং দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় কারণ সে ভয় পেয়েছিল।

পুলিশ সূত্রের খবর, অঙ্কুশ খান্না আশুতোষ-সহ বাকি অভিযুক্তদের দীপক নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে লুকিয়ে রাখতে সাহায্য করেছিল। পাশাপাশি সূত্রের খবর অঙ্কুশের নির্দেশেই অভিযুক্তরা অঞ্জলিকে গাড়িতে পিষে রাখা অবস্থায় একটি অটো করে পালিয়ে গিয়েছিল। যা দেখা গেছে সিসিটিভি ফুটেজে।

৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় পার্টির পর অঞ্জলি গভীর রাতেই বাড়ি ফিরছিলেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর এক বান্ধবী। যদিও আগেই পরিবারের সদস্যদের তিনি জনিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর বাড়ি ফিরতে গভীর রাত হবে। সেইমত পার্টে সেরে অনেক রাতেই বাড়ি ফির ছিলেন তিনি। সেই সময়ই দুর্ঘটনা ঘটে। দিল্লির কানঝাওলায়ায় মহিলাকে গাড়িতে ধাক্কা মেরে ১২ কিলোমিটার টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

গাড়িতে থাকা ৫ জনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগের পাশাপাশি বেপওয়া গাড়ি চালান আর অবহেলার কারণে মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনার মূল সাক্ষী হিসেবে একজনকে খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। সেই সাক্ষীর দাবি তিনি দেখেছিলেন, ২০ বছর বয়সী অঞ্জলি সিং-র স্কুটারে মারুতি ব্যালেনো গাড়িটি ধাক্কা মারে। সেই সময় অঞ্জলির বন্ধু তার সঙ্গে ছিলেন। তবে ঘটনার পরই অঞ্জলির বিপদের মধ্যে ফেলে তার বন্ধু পালিয়ে যায়। তবে অঞ্জলির পা গাড়ির অ্যাক্সলে আটকে যায়। তারপরই গাড়িটি ওই অবস্থায় অঞ্জলি টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায়। সেই নিধি বর্তমানে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বা মূল সাক্ষী হিসেবে সামনে এসেছেন।

অভিযুক্তরা হল দীপক খান্না(২৬) অমিত খান্না (২৫), কৃষাণ (২৭), মিঠুন (২৬), মনোজ মিত্তাল (২৭)- প্রত্যেকেই রয়েছে পুলিশ হেফাজতে।