সংক্ষিপ্ত
কর্ণাটকে ২৬১৫ প্রার্থীর মধ্যে পুরুষ প্রার্থীর সংখ্যা ২৪৩০ ও মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা মাত্র ১৮৪ জন। তৃতীয় লিঙ্গের একজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কর্ণাটকে তরুণ ভোটারের সংখ্যা ১১ লক্ষেরও বেশি।
কর্ণাটক নির্বাচন ২০২৩, শুধুমাত্র একটি রাজ্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, গোটা দেশের নজর রয়েছেন এই রাজ্যের নির্বাচনের দিকে। বুধবার সকাল ৭টায় শুরু হবে কর্ণাটকের ২২৪টি আসনের ভোট গ্রহণ। ভোট গ্রহণ হবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। ৫ কোটিরও বেশি ৩১ লক্ষেরও বেশি ভোটার ২৬১৫ জন প্রার্থীর ভাগ্য আগামী পাঁচ বছরের জন্য নির্ধারণ করবেন। ভোট গ্রহণ হবে ৫৮ হাটার ৫৪৫টি পোলিং স্টেশনে। প্রত্যেকটি বুথে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
কর্ণাটকে ২৬১৫ প্রার্থীর মধ্যে পুরুষ প্রার্থীর সংখ্যা ২৪৩০ ও মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা মাত্র ১৮৪ জন। তৃতীয় লিঙ্গের একজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কর্ণাটকে তরুণ ভোটারের সংখ্যা ১১ লক্ষেরও বেশি। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী ৪ লক্ষেরও বেশি পোলিং কর্মী ভোট প্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহণ করবেন।
কর্ণাটকে অতীতের রেকর্ড ভাঙতে চায় বিজেপি। কারণে ১৯৮৫ সালের পর কর্ণাটক কোনও একটি দলকে দ্বিতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় রাখেনি। তবে গত তিন বছর ধরে এই রাজ্যে রাজ করছে বিজেপি। দ্বিতীয় বারের জন্য আবারও ক্ষমতায় ফেরার মরিয়া চেষ্টা করছে। অন্যদিকে কংগ্রেসও এই রাজ্যে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছে। পিছিয়ে নেই জেডিএস। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে সুস্ঠু নির্বাচনের জন্য কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রতিবেশী রাজ্য থেকেও বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ৮৪ হাজারেও বেশি পুলিশ, ৫৮ হাজারের বেশি সিআরপিএফ জওয়ান, মোতায়েন থাকবে।
কর্ণাটকের হেভিওয়েট প্রার্থীর তালিকাটাও গুরুত্বপূর্ণ। মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি প্রার্থী বাসবরাজ বোমাই শিগগাও থেকে ল়ড়াই করছেন। বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের সিদ্ধারামাইয়া বরুণা কেন্দ্রের প্রাথী, জেডিএস নেতা এইচডি কুমারস্বামী চন্নাপাটনার প্রার্থী। কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমার কনকপুরার প্রার্থী। এছাড়ও রয়েছেন বিজেপি থেকে কংগ্রেসে আসা শেট্টার। তিনি হুবলির ধারওয়ার কেন্দ্রের প্রার্থী।
কর্ণাটক নির্বাচন নিয়ে কংগ্রেস ও বিজেপির লড়াই তুঙ্গে। ইতিমধ্যেই কর্ণাটক নির্বাচন নিয়ে সনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অন্যদিকে ভোটের আগের দিনই কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন। কারণ প্রচার শেষ হওয়ার পরে ভোটের মাত্র এক দিন আগেই ভোট চেয়ে প্রধানমন্ত্রী কর্ণাটকের স্থানীয় বাসিন্দাদের খোলা চিঠি লিখেছেন। যা নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে কংগ্রেস। যাইহোক কর্ণাটকের প্রচার নিয়েও কংগ্রেস ও বিজেপি একে অপরের বিরুদ্ধে আশালীন মন্তব্য করেছিল। যা নিয়ে দুই দলই একে অপরের বিরুদ্ধ নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল।