সংক্ষিপ্ত

কর্ণাটক নির্বাচনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়ে যাওয়াই শুধু নয়, শুরু হয়ে গিয়েছে মনোননয়নপত্র দাখিলের সময়সীমা। বলতে গেলে কর্ণাটক নির্বাচনের আগে তাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে প্রবল আগ্রহ। কী বলছে মানুষের মন। তাই নিয়ে হয়েছে একটি ডিজিটাল সমীক্ষা।

 

মনে করা হচ্ছে কর্ণাটক নির্বাচনের ফলাফল কিছুটা হলেও মধ্য়প্রদেশ, তেলেঙ্গানা, ছত্তিশগঢ় ও রাজস্থানের নির্বাচনের সুরটাকে বেঁধে দিতে পারে। ২০২৪ সালে দেশে সাধারণ নির্বাচন। তার আগে যে সব রাজ্য ও প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন আছে তা জনতা জনার্দনের মানসিকতা বোঝার জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। যার জন্য সম্প্রতি হয়ে যাওয়া উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির নির্বাচনের পর এবার যখন দাক্ষিণাত্যে ভোটযুদ্ধ শুরু হয়েছে তখন তাতে সবার আগে নাম রয়েছে কর্ণাটকের। দাক্ষিণাত্যে যে রাজ্যগুলিতে বিজেপি গত কয়েক বছর ধরে ভালো মতো সংগঠন তৈরি করা শুধু নয় সরকারও তৈরি করেছে তার নাম কর্ণাটক। দেশজুড়ে যে কোনও ভোটযুদ্ধে দেখা যাচ্ছে মোদী আবেগ, সেই আবেগ আদৌ কি কর্ণাটকে বিজেপি-র গঢ়কে টিকিয়ে রাখতে সমর্থ হবে? না কি রাহুল গান্ধী ফ্যাক্টটর তৈরি করতে পারবেন কর্ণাটকে কংগ্রেসর জয়ের পথ সুগম করতে? এমনই ১০টি প্রশ্নের মালা নিয়ে এশিয়ানেট নিউজ একটি ডিজিটাল সমীক্ষা চালায়। এই সমীক্ষাতে যে ফলাফল এসেছে তার উপরে পুরোপুরি নির্ভর হওয়া বা নিশ্চিত হওয়া যায় না। কারণ, সমীক্ষাটি অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতেই চালানো হয়েছে। মূলত দেশের মানুষের মতামতকে অগ্রাধিকার দেওয়াটাই ছিল লক্ষ্য। যার ফলে এই সমীক্ষাতে শুধুই যে কর্ণাটকের ভোটদাতারা অংশ নিয়েছেন এমনটা নয়। এতে দেশের অন্যান্য প্রান্তের মানুষও মত জ্ঞাপন করেছেন। যার জন্য এই সমীক্ষাকে পিপিলস চয়েস হিসাবেই ধরা হচ্ছে। যা হয়তো আগামী দিনে অনুষ্ঠিত হতে চলা কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচন ২০২৩-এর ট্রেন্ড নিয়ে একটা সম্মক ধারণা দিতে পারে।

এশিয়ানেট নিউজ ডিজিটাল সার্ভে পিপলস চয়েসে দেখা গিয়েছে যে ৩৫ লক্ষ মানুষ এতে অংশ নিয়েছে। যার মধ্যে ৫২ শতাংশ মানুষই কর্ণাটকের বাসিন্দা। একনজরে দেখে নেওয়া যাক এশিয়ানেট নিউজ ডিজিটাল সার্ভে পিপলস চয়েসের বিন্যাসকে।

কার দিকে পাল্লা ভারি, কার দিকে পাল্লায় নেই জোর

এই পিপলস চয়েস সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে ইংরাজি প্ল্যাটফর্মে যারা অংশগ্রহণ করেছেন তাঁদের মধ্যে ৪২ শতাংশই বর্তমানে বাসবরাজ বোম্মাই-এর সরকারকে নিয়ে খুশি নন। আবার সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৪৪ শতাংশ মানুষ মনে করছেন কেন্দ্র ও রাজ্যে একই দলের সরকার হলে মানে ডাবল ইঞ্জিন সরকার ফের তৈরি হলে কর্ণাটকের উন্নয়নে আরও গতি আসবে।

কন্নড়ে যারা এই সমীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন তাদের মধ্যে আবার ৩৫ শতাংশ কর্ণাটকের বর্তমান বাসবরাজ বোম্মাই-এর সরকারকে নিয়ে অখুশি থাকার কথা ব্যক্ত করেছেন। যদিও ৫২ শতাংশ মানুষ বর্তমান বিজেপি সরকারকে নিয়ে তাঁদের খুশি থাকার কথাই বলেছেন।

সমীক্ষাতে এমন প্রশ্নও রাখা হয়েছিল যেখানে বলা হয় যে যদি দেখা যায় যে কোনও দলই এককভাবে সরকার গড়তে পারছে না, তাহলে কোন জোট সরকারকে পছন্দ করবেন সরকার গড়তে?

এতে দেখা গিয়েছে, কন্নড়ে উত্তর দেওয়াদের মধ্যে ৪৪ শতাংশ বিজেপি ও জনতা দল সেকুলারের জোট সরকারের পক্ষেই মত ব্যক্ত করেছেন। আবার ২০ শতাংশ মানুষ কংগ্রেস ও জনতা দল সেকুলারের জোট সরকারের পক্ষে সওয়াল করেছেন। ইংরাজি প্ল্যাটফর্মে যারা এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে যে বিজেপি ও জনতা দল সেকুলারের জোট সরকারের পক্ষে মত দিয়েছেন ৪১শতাংশ। ৩৭ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন বিজেপি-জেডিএস-এর জোট সরকার-ই এলে ভালো।  

এই সমীক্ষা পড়া এবং অনুধাবন করার সময় ফের একটি কথা আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে এই সমীক্ষাকে কোনওভাবেই বৈজ্ঞানিক বলা যায় না। কারণ কিছু প্রশ্নমালা সাজিয়ে আমরা পাঠকদের সামনে রেখেছিলাম। তারা যে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তাই তুলে ধরা হয়েছে। যার জন্য আমরা দেখেছি এই সমীক্ষায় অংশ নেওয়া মানুষদের মধ্যে ৪৮ মানুষ কর্ণাটকে বসবাসই করেন না এবং এদের মধ্যে অনেকের আবার ভোটাধিকারও নেই।

আরও পড়ুন--- 
একি কাণ্ড! অমিত শাহ-র রোড শো বাতিল হতেই আপেলের মালা থেকে আপেল নিয়ে দে দৌড়! 
মোদীই তাঁর ঈশ্বর, নিজের জামা দিয়ে মুছে দিলেন প্রধানমন্ত্রীর কাট আউট, দেখে নিন মন ছুঁয়ে যাওয়া ভিডিও 
ভোটের আগে কংগ্রসের হাতিয়ার মোদীর অডিও, কর্ণাটকের দুর্নীতি নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ বিরোধী পক্ষের