সংক্ষিপ্ত

এবার নির্বাচনের মেগা প্রচারের জন্য আগামী ২৯ এপ্রিল কর্ণাটকে পৌঁছচ্ছেন মোদী। এপ্রিলের ২৬ তারিখ থেকেই ভোটের প্রচারে একের পর এক কর্মসূচির পরিকল্পনা রয়েছে পদ্ম শিবিরের।

আগামী ২৯ এপ্রিল কর্ণাটক সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০২৩ সালে এই নিয়ে অষ্টমবারের মতো দক্ষিণের এই রাজ্যে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। ভোটের আবহে প্রধানমন্ত্রীর এই সফর বিজেপির প্রচার কর্মসূচিকে আরও জোড়দার করবে বলেই মনে করা হচ্ছে। দক্ষিণের রাজ্যগুলির মধ্যে একমাত্র কর্ণাটকেই নিজেদের গড় ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। ফলে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে কোনও রকমের খামতি রাখতে রাজি নয় পদ্ম শিবির। এবার নির্বাচনের মেগা প্রচারের জন্য আগামী ২৯ এপ্রিল কর্ণাটকে পৌঁছচ্ছেন মোদী। এপ্রিলের ২৬ তারিখ থেকেই ভোটের প্রচারে একের পর এক কর্মসূচির পরিকল্পনা রয়েছে পদ্ম শিবিরের।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, ২৬ এপ্রিল এবং ২৯ এপ্রিল দুটি মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। মে মাসের ৫ ও ৭ এপ্রিলও নির্বাচনের প্রচারে মিছিল বেরোবে কর্ণাটকে। ইউনিয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি জানিয়েছেন এপ্রিল মাসের ২৫ তারিখ থেকে মে মাসের ৬ তারিখ পর্যন্ত মোট আটটি মিছিলের পরিকল্পনা করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

অন্যদিকে কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারাতে জেডিএসের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস, ভারত রাষ্ট্র সমিতি ও সিপিএম। জেডিএস প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারে যাচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকেও প্রচারে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করতে পারে জেডিএস। কারণ, ইতিমধ্যেই সিপিএমের সঙ্গে জোট করেছে এইচ ডি দেবেগৌড়া, এইচ ডি কুমারস্বামীর দল। কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএমকে ৩টি আসন ছেড়েছে জেডিএস। সেই কারণেই ভোট প্রচারে বিজয়নকে ডাকার কথা ভাবছে জেডিএস। ফলে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে তৃণমূল কংগ্রেস ও সিপিএমের বিরোধিতা থাকলেও, কর্ণাটকে বিজেপি-বিরোধিতায় একজোট এই দুই পরস্পর-বিরোধী রাজনৈতিক দল।

আরও পড়ুন - 

কর্ণাটকে বিজেপিকে ঠেকাতে জেডিএসের পাশে তৃণমূল-সিপিএম

'জবাব দিয়ে সময় নষ্ট করবো না', রাষ্ট্রসঙ্ঘে কাশ্মীর নিয়ে সুর ধরতেই পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব ভারতের

মোদীজিকে অনুরোধ করছি, পাকিস্তানকে দত্তক নিয়ে নিন: ভিডিওতে জানালেন পাকিস্তানি ব্লগার