সংক্ষিপ্ত
নতুন নির্দেশিকায় হিজাব এবং বোরকা পরিহিত ছাত্রীরা স্কুলে প্রবেশ করার অনুমতি পাবেন। তাদের বাইরে দাঁড়ানো এবং মাথার স্কার্ফ খুলে ফেলার পরিবর্তে ইউনিফর্মে পরিবর্তন আনা হবে।
হিজাব ইস্যু নিয়ে উত্তাল কর্ণাটক। সেই বিক্ষোভের আঁচ এসে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গ সহ বেশ কিছু রাজ্যেও। রেশ ছড়িয়েছে দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশেও। সেই বিতর্কের প্রেক্ষিতে এবার কর্ণাটক সরকার হিজাব ব্যবহারের উপর একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) চালু করতে পারে। আদালতে বিচারাধীন থাকা পর্যন্ত স্কুল ও কলেজগুলিতে ধর্মীয় পোশাক নিষিদ্ধ করার হাইকোর্টের প্রস্তাবের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
আদালতের আদেশ সত্ত্বেও সোমবার কিছু শিক্ষার্থী হিজাব পরে ক্লাসে উপস্থিত হওয়ার পরে সরকার সমস্ত স্কুল ও কলেজের জন্য নির্দেশিকা জারি করতে পারে। কিছু ছাত্রকে স্কুলের গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ হিজাব খুলে ফেলতে বলে। এই ধরনের পরিস্থিতি রোধ করতে, সরকার একটি নতুন নির্দেশিকা নিয়ে আসতে পারে।
মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোমাই, শিক্ষামন্ত্রী বি সি নাগেশ, শিক্ষা দফতরের আধিকারিক এবং স্বরাষ্ট্র দফতরের আধিকারিকদের একটি বৈঠক এই বিষয়ে হওয়ার কথা। হাইকোর্টের প্রস্তাবের ভিত্তিতে এই ধরনের নির্দেশিকা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সূত্রের মতে, নতুন নির্দেশিকায় হিজাব এবং বোরকা পরিহিত ছাত্রীরা স্কুলে প্রবেশ করার অনুমতি পাবেন। তাদের বাইরে দাঁড়ানো এবং মাথার স্কার্ফ খুলে ফেলার পরিবর্তে ইউনিফর্মে পরিবর্তন আনা হবে।
শেষ দফায় তিনটি রাফল যুদ্ধবিমান আগামী সপ্তাহেই দেশে আসছে
ইসরোর পিএসএলভি-সি৫২-র সফল উৎক্ষেপণ, দেখুন সেই ভিডিও
এদিকে, বর্তমান হিজাব বিতর্কের (Hijab controversy) মধ্যে, সোমবার কর্ণাটক হাইকোর্ট (Karnataka High Court) স্কুল ও কলেজে হিজাব নিষিদ্ধকে চ্যালেঞ্জ করে আবেদনের শুনানির পরে মঙ্গলবার পর্যন্ত মামলা মুলতুবি (adjourns) করেছে। শুনানির আগে, কর্ণাটক হাইকোর্ট মিডিয়াকে "আরো দায়িত্বশীল হতে" আবেদন করেছে।
মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় হাইকোর্ট এ বিষয়ে শুনানি করবে বলে জানা গিয়েছে। এর অর্থ হল যে হাইকোর্টের স্কুল ও কলেজগুলিতে হিজাব বা অন্য কোনও ধর্মীয় পোশাকে অনুমতি না দেওয়ার অন্তর্বর্তী আদেশ দেওয়া হয়েছে। সেই অন্তর্বর্তী আদেশ এই বিষয়ে চূড়ান্ত রায় না আসা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে কর্ণাটক হাইকোর্ট।
হিজাব নিয়ে রাজ্যের কিছু অংশে অপ্রীতিকর ঘটনার পর গত বুধবার থেকে বন্ধ থাকার পর সোমবার কর্ণাটকের উচ্চ বিদ্যালয়গুলি আবার চালু হয়েছে। ফৌজদারি আইনের ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে উডুপি, দক্ষিণ কন্নড় এবং বেঙ্গালুরু জেলার সংবেদনশীল এলাকায়।
রবিবার মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোমাই আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করে বলেছেন যে রাজ্যে শান্তি ও স্বাভাবিক পরিস্থিতি রয়েছে। তিনি আরও বলেন যে পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় এবং ডিগ্রি কলেজ পুনরায় খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এর আগে শুক্রবার সরকার জানায় যে উচ্চশিক্ষা বিভাগের অন্তর্গত বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজিয়েট অ্যান্ড টেকনিক্যাল এডুকেশন (ডিসিটিই) অধিদফতরের অধীনস্থ কলেজগুলির জন্য ঘোষিত ছুটি ১৬ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।