সংক্ষিপ্ত
কর্ণাটকের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর ইস্যু দিল্লিতে সমাধান হচ্ছে। খাড়গের বাড়িতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন দলের অনেক বড় নেতা। বৈঠকে যোগ দিয়েছেন দলের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীও।
কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জিতেছে, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী সংক্রান্ত বিষয়টি আটকে আছে। ফলাফল আসতে তিন দিন পেরিয়ে গেলেও মুখ্যমন্ত্রীর নাম এখনও ঠিক করতে পারেনি কংগ্রেস। এই বিষয়টি কর্ণাটকের দুই বড় নামের মধ্যে জড়িয়েছে। একদিকে কর্ণাটক কংগ্রেস সভাপতি ডি কে শিবকুমার ও অন্যদিকে সিদ্দারামাইয়াদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। আজ সন্ধ্যার মধ্যে কংগ্রেস হাইকমান্ড মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থীর নাম ঘোষণা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, সরকার গঠনের নতুন ফর্মুলা নিয়ে এসেছে কংগ্রেস। যেখানে ডি কে শিবকুমার এবং সিদ্দারামাইয়ার মধ্যে ভারসাম্য তৈরি হয়েছে।
এদিকে, কর্ণাটকের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর ইস্যু দিল্লিতে সমাধান হচ্ছে। খাড়গের বাড়িতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন দলের অনেক বড় নেতা। বৈঠকে যোগ দিয়েছেন দলের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীও। এছাড়াও কর্ণাটকের কংগ্রেসের নবনির্বাচিত বিধায়করাও পৌঁছেছেন খড়গের বাড়িতে।
তথ্য অনুযায়ী, ৭৭ বছর বয়সী প্রবীণ নেতা সিদ্দারামাইয়া মুখ্যমন্ত্রী হবেন। ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রীর পদ দেওয়া হবে ডিকে শিবকুমারকে। এ ছাড়া শিবকুমারকে একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রিত্ব দেওয়া হবে এবং তিনি রাজ্যে কংগ্রেস দলের নেতৃত্বে থাকবেন। এর সাথে ডিকে আশ্বস্ত করা হবে যে তাকে ২.৫ বছর পরে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে। সূত্রের বিশ্বাস, এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন দলের সভাপতি মল্লিকার্জন খাড়গে।
সিদ্দারামাইয়ার নাম চূড়ান্ত?
সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী পদে সিদ্দারামাইয়ার নাম চূড়ান্ত হয়েছে। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনও আসেনি। যা আজ সন্ধ্যার মধ্যে সম্পন্ন হবে। ডিকে শিবকুমারের চেয়ে সিদ্দারামাইয়ার দাবি শক্তিশালী বলে মনে করা হচ্ছে। সোমবারই দিল্লি পৌঁছেছিলেন সিদ্দারামাইয়া। যখন ডিকে আজ দিল্লি পৌঁছেছেন। স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় তিনি প্রাথমিকভাবে তার দিল্লি সফর বাতিল করেছিলেন।
দিল্লিতে একা গেলেন ডি কে শিবুকমার
দিল্লি যাওয়ার আগে শিবকুমার বলেছিলেন, 'কংগ্রেস মহাসচিব আমাকে একা আসতে নির্দেশ দিয়েছেন, আমি একাই দিল্লি যাচ্ছি। কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক আমাকে একা আসতে নির্দেশ দিয়েছেন। আমি একাই দিল্লি যাচ্ছি। আমি সুস্থ আছি। কংগ্রেস দল আমার মন্দির, কংগ্রেস দলই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি তাই কাউকে চিন্তা করার দরকার নেই।তিনি বলেন, মানুষ কংগ্রেসকে আশীর্বাদ করেছে। জনগণের আস্থা রক্ষা ও বৃদ্ধির জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা চালাতে হবে। কন্নড় নাড়ু, মা ভুবনেশ্বরী এবং মা চামুন্ডেশ্বরী সংবিধান এবং কর্ণাটকে 'সর্ব জনাংদা শান্তিয়া টোটা' হিসাবে রক্ষা করতে।