সংক্ষিপ্ত

  • কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে ফিরেও করোনা পজিটিভ
  • নিয়ম মেনেই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে কাটান ২ ব্যক্তি
  • কিন্তু বাড়ি ফিরতেই ঘটে গেল বিপত্তি
  • করোনা পরীক্ষীর রিপোর্ট এল পজিটিভ

সোমবার থেকে দেশে শুরু হয়েছে আনলক ১। ধীরে ধীরে নিয়ম শিথিল করছে কেন্দ্র। খুলছে অফিস-কাছারি। বেরোচ্ছেন মানুষজন। আর এর মধ্যেই প্রতিদিন  আক্রান্তের সংখ্যা বেলাগাম ভাবে বাড়ছে। পরিস্থিতি যে ক্রমে উদ্বেগের হচ্ছে তা নিয়ে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা। এরমধ্যেই কর্ণাটকের একটি খবর সবার চিন্তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়া পাওয়ার পর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এল ২ ব্যক্তির।

কাতার ও নমালয়েশিয়া থেকে ফিরেছিলেন ২ ব্যক্তি। দক্ষিণ কান্নাডার সরকারি কোয়ারেন্টাইনে নিয়ম মতো ৭ দিন কাটান বছর ৫০ ও বছর ৪২ দুই ব্যক্তি। কিন্তু কোয়ারেন্টাই থেকে ফিরে সার্স-কোভ-২ পরীক্ষা করাতেই চক্ষু চড়কগাছ সকলেরষ শেষপর্যন্ত মেঙ্গালুরুর কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে ২ জনকে।

দেশে শুরু হয়েছে আনলক ১, বছরের শেষে করোনা সংক্রমণের শিকার হতে পারেন ৬৭ কোটি ভারতীয়

সংক্রমণের সংখ্যা ছাড়াল ১ লক্ষ ৯০ হাজার, আক্রান্ত দেশের তালিকায় সপ্তমে উঠে গেল ভারত

ব্রাজিলে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ৫ লক্ষ, অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ফুটবল লিগ চালু করতে মরিয়া বোলসোনারো

তবে কর্ণাটকে এই ঘটনা প্রথম নয়। দক্ষিণ কান্নাডার এক ব্যক্তিও কোয়ারেন্টাইন থেকে মুক্তি পাওয়ার পর একই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিলেন। ২৯ মে তাঁকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। ৩১ মে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসে পজিটিভ। একই ঘটনার খবর পাওয়া গিয়েছে বেলাপু ও উদিপি জেলাতেও। 

কোয়ারেন্টাইন থেকে ফেরত আসার পরেও যেভাবে কর্ণাটকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তাতে চিন্তায় ভাজ পড়েছে প্রশাসনের কপালে। এতদিন করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এলেই কোয়ারেন্টাইন থেকে মুক্তি পাওয়া যেত। কিন্তু কেন্দ্রের নতুন গাইডলাইন অনুসারে কর্ণাটক সরকার নিয়ম করেছে কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট আসার আগেই মানুষ বাড়ি ফিরতে পারবেন। এই সময় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। 

তবে ২৮ দিন আইসোলেশন কাটানোর পরও কোভিড ১৯ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে এদেশে। গত এপ্রিলেই দুবাই থেকে কেরলের কোঝিকোডে ফেরেন এক ব্যক্তিয ২৮ দিন আইসোলেশনে থাকার পর তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরকমি আরও ৪টি ঘটনা পাওয়া গিয়েছে কেরলে। 

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় কর্ণাটকে ১৮৭ টি নতুন করোনা সংক্রমণের খহবর পাওয়া গিয়েছে। পলে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩,৪০৮। এখনও পর্যন্ত দক্ষিণের এই রাজ্যে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৫২ জনের। কর্ণাটক স্বাস্থ্য দফতরের দাবি নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ১১৭ জন ভিনরাজ্য থেকে এসেছেন। যাদের মধ্যে অধিকাংশই মহারাষ্ট্র থেকে আগত।