জম্মু ও কাশ্মীরে পশ্চিমি ঝঞ্ঝার কারণে উঁচু পার্বত্য অঞ্চলে তুষারপাত এবং সমভূমিতে বৃষ্টিপাত হয়েছে। গুলমার্গ, পহেলগামে তুষারপাত রেকর্ড করা হয়েছে, আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে যে এই ঝঞ্ঝা পশ্চিম হিমালয়কে প্রভাবিত করছে।
জম্মু ও কাশ্মীরের আবহাওয়া: পশ্চিমি ঝঞ্ঝার (Western Disturbance) প্রভাবে জম্মু ও কাশ্মীরে গরমের শুরুতেই শীত ফিরে এসেছে। কাশ্মীরের উঁচু পাহাড়ি এলাকায় সোমবার আবার তুষারপাত হয়েছে। অন্যদিকে, সমভূমিতে বৃষ্টি হয়েছে।
ভারত আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগ (IMD) থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে নিচের থেকে উপরের ট্রপোস্ফিয়ার স্তরে একটি পশ্চিমি ঝঞ্ঝা বিস্তৃত রয়েছে। এটি পশ্চিম হিমালয় অঞ্চলকে প্রভাবিত করছে। এর ফলে জম্মু ও কাশ্মীর এবং হিমাচল প্রদেশে তুষারপাত এবং বৃষ্টিপাত হয়েছে।
গুলমার্গ এবং পহেলগাঁও সহ উঁচু এলাকায় তুষারপাত
কাশ্মীরের পর্যটন স্থান গুলমার্গ এবং পহেলগাঁও সহ উঁচু এলাকায় সোমবার তাজা তুষারপাত হয়েছে। অন্যদিকে, সমভূমিতে বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া কেন্দ্র শ্রীনগর জানিয়েছে যে উত্তর কাশ্মীরের বারামুলা জেলার গুলমার্গ স্কি রিসর্টে সোমবার ১০.০ সেমি তুষারপাত হয়েছে। একইভাবে পহেলগাঁওে ৩.৫ সেমি এবং কুপওয়ারায় ২.৫ সেমি তুষারপাত হয়েছে।
কী এই Western Disturbances? কীভাবে ভারতে বৃষ্টি এবং তুষারপাতকে প্রভাবিত করে?
উত্তর ভারতের পাহাড়ে বৃষ্টি এবং তুষারপাতের উৎস হলো ক্রান্তীয় ঝড়। এগুলিকে পশ্চিমি ঝঞ্ঝা (Western Disturbances) বলা হয়। এগুলি ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে তৈরি হয় এবং পূর্ব দিকে উত্তর বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ-পূর্ব নেপাল পর্যন্ত যায়।
এটি একটি অ-মৌসুমি বৃষ্টিপাতের ধরণ। এটি বায়ুমণ্ডলের নীচের স্তরে নিম্নচাপের সিস্টেম তৈরি করে। এর ফলে সমভূমিতে বৃষ্টি এবং পাহাড়ে তুষারপাত হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গত কয়েক বছরে পশ্চিমি ঝঞ্ঝার তীব্রতায় হ্রাস দেখা গেছে। পশ্চিমি ঝঞ্ঝা কম হওয়ায় পাহাড়ে তুষারপাত কম হয়েছে। এর ফলে কিছু অঞ্চলে রবি ফসলের উৎপাদন এবং সাধারণত পাহাড়ে জলের প্রাপ্যতা প্রভাবিত হয়। রবির বেশিরভাগ ফসল অক্টোবর থেকে নভেম্বরে বপন করা হয়। এই মাসগুলিতে বৃষ্টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


